নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর, রোডম্যাপ (Roadmap) ঘোষণা করেন। উক্ত ঘোষিত রোডম্যাপে (Roadmap) মাননীয় প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন যে, “দেওয়ানী ও ফৌজদারী এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপন করা প্রয়োজন। যুগ্ম জেলা জজ হতে জেলা জজ পর্যন্ত এ সংস্কার আনতে হবে।”

প্রধান বিচারপতির ঘোষিত রোডম্যাপে (Roadmap) দেওয়ানী ও ফৌজদারী এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপনের অংশ হিসেবে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি এবং সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দেওয়ানি ও ফৌজাদারী এখতিয়ার অনুসারে জেলা জজশীপ ও সেশনস ডিভিশন পৃথককরণ এবং সংশ্লিষ্ট জজশীপ ও সেশনস ডিভিশনের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ সৃজনের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি পত্র অদ্য ২১ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. তারিখ রোজ সোমবার বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট থেকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেওয়ানি মামলা ও ফৌজদারী মামলার বিচার্য বিষয়, এজলাসের ধরন ও সাক্ষীর প্রকৃতি ভিন্ন। যার ফলে এ ধরনের মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিচারকের গভীর মনোনিবেশ প্রয়োজন হয়। তথাপি, ব্যাংলাদেশের অধস্তন আদালতসমূহে বর্তমানে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ানি আপীল, দেওয়ানি রিভিশন, ফৌজদারী আপীল, ফৌজদারী রিভিশন এর পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষ আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এর ফলে বিচারকের সদিচ্ছা থাকা সত্তে¡ও প্রত্যাশিত মামলা নিষ্পত্তি কার সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে মামলা জট ও দীর্ঘসূত্রিতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি হচ্ছে।

এ জন্য পৃথক এখতিয়ার প্রয়োগের সুবিধার্থে এবং মামলা জট নিরসনের নিমিত্ত বিচার বিভাগের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে পৃথক আদালত স্থাপন ও প্রয়েজনীয় সংখ্যক পদ সৃজন করার প্রয়োজনীয়তা থেকেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েচার বিভাগীয় কর্মচারীদের প্রস্তাবিত সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয়ের অধীনস্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ।
বাংলাদেশের ২৫ তম প্রধান বিচারপতি বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিগত ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি. রোজ শনিবার সকাল ১০:০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতিবৃন্দসহ দেশের জেলা আদালতসমূহে কর্মরত বিচারকদের উদ্দেশ্যে অভিভাষণ প্রদানকালে বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ (Roadmap) ঘোষণা করেন।
প্রধান বিচারপতি ঘোষিত উক্ত রোডম্যাপে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বতন্ত্রীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক পৃথকীকরণ এর বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়। তিনি অভিভাষণে ঘোষণা করেন যে সুপ্রীম কোর্টের অধীনে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় স্থাপনের জন্য তিনি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এরই ধারাবাহিকতায় সুপ্রীম কোর্টের অধীনে বিচার বিভাগের জন্য একটি পৃথক সচিবালয় গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাবনা গত বছরের ২৭ আগস্ট আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। উক্ত পত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ যথাযথরূপে পালনের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে আইন ও বিচার বিভাগকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জ্ঞাপন করা হয়।
ইতোমধ্যে অন্তবর্তীকালী সরকারের ইতিবাচক সহযোগিতায় বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো প্রস্তুতকরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তবে সুপ্রীম কোর্টের অধীনে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় স্থাপনকে আরও অর্থবহ করতে মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয়ের সদয় নির্দেশনার আলোকে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক ইতোপূর্বে প্রেরিত ‘বিচার বিভাগীয় সচিবালয় অধ্যাদেশ ২০২৪’ এর খসড়ায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনয়নপূর্বক উহার নাম পরিবর্তনক্রমে ‘সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।
‘সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর খসড়ায় সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয়ের কার্যাবলী হিসেবে সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো (Organogram) এবং ইকুইপমেন্ট (Equipment) নির্ধারণ; বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদ সৃজন, বিলোপ, বিন্যাস, নিয়োগ, পদায়ন, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, ছুটি, চাকুরির শর্তাবলী নির্ধারণ; অধস্তন আদালত, তৎসংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা প্রতিষ্ঠান, কমিশন, ইনস্টিটিউট, একাডেমি প্রভৃতির কাঠামো (Organogram) এবং ইকুইপমেন্ট (Equipment) নির্ধারণ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, বর্তমান খসড়ায় সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয়ের কার্যাবলী বন্টন, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয়কে প্রয়োজনীয় বিধি, প্রবিধি, নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত ‘সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ ২০২৫’এর খসড়ায় সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয়ের বাজেটে বিচার কর্ম-বিভাগে নিযুক্ত সকলের বেতন-ভাতাদির পাশাপাশি দেশের বিচার প্রশাসন পরিচালনার প্রশাসনিক ব্যয়, অধস্তন আদালত, তৎসংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, কমিশন, ইনস্টিটিউট, একাডেমি প্রভৃতির উন্নয়ন ব্যয়, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করার বিধান সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
এছাড়া, খসড়া অধ্যাদেশে সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয়কে অধস্তন আদালত, তৎসংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, কমিশন, ইনস্টিটিউট, একাডেমি প্রভৃতির উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, অনুমোদন ও বাস্তবায়নের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত ‘সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে বা পূর্বানুমোদনক্রমে প্রয়োজনীয় আদেশ, নির্দেশ, পরিপত্র, নীতিমালা প্রভৃতি সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করতে পারবে মর্মে খসড়া অধ্যাদেশে বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে।
আজ সোমবার ২১ এপ্রিল বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক পত্রে সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত ধারণাপত্র, ‘সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর খসড়া, Rules of Business 1996 – এর যে সকল স্থানে সংশোধন করতে হবে তার তালিকা, Allocation of Business – এর সংশোধনের তালিকা, সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয় অর্গানোগ্রাম (Organogram)- এর খসড়া সংযুক্তি সহকারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এর নিকট প্রেরণ করা হয়।
প্রধান বিচারপতি ঘোষিত ১২ দফা নির্দেশনার আলোকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি : গত ১৮ এপ্রিল, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচার সেবা সহজিকরণসহ পেশাগত কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট রেজিস্ট্রির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে ১২ দফা নির্দেশনা প্রদান করেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সকল প্রকার আর্থিক লেনদেন বর্জন উক্ত ১২ দফা নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম। এছাড়া, প্রধান বিচারপতি তার ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে Judicial Independence and Efficiency শীর্ষক সেমিনার সিরিজে অংশগ্রহণ করেন এবং উক্ত সেমিনারে মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় জেলা আদালতসমূহে তার ঘোষিত ১২ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকলকে উদ্ধুদ্ধ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা আদালতে স্থানীয় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুরূপ নির্দেশনাবলী জারি হয়েছে।
সম্প্রতি ‘সংবাদ ২৪ ঘন্টা’ নামক একটি স্থানীয় অনলাইন মিডিয়ায় রাজশাহী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, নথি ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট প্রচারিত হয়। মাননীয় প্রধান বিচারপতি ঘোষিত ১২ দফা নির্দেশনার আলোকে বিচারসেবা প্রদানে যে কোন দুর্নীতির বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বনের অংশ হিসেবে অদ্য বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক উক্ত বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম কে সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ হয়। এছাড়া, ৩০ দিনের মধ্যে উক্ত বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তদন্ত সম্পন্নপূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য জেলা জজ, রাজশাহীকে নির্দেশনা প্রদান করে অদ্য হাইকোর্ট বিভাগ হতে আদেশ জারি হয়েছে। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে অভিযুক্ত বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সুপ্রীম কোর্ট হেল্প লাইন
সুপ্রীম কোর্ট হেল্প লাইন এর সাফল্য : বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আগত কোনো বিচারপ্রার্থী বা সেবাগ্রহীতা সুপ্রীম কোর্ট রেজিস্ট্রির কোনো শাখায় সেবা গ্রহণে যে কোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলে বা সেবা গ্রহণ সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে কোনো অসুবিধার মুখোমুখি হতে উক্ত সেবাগ্রহীতাকে সহায়তা করার নিমিত্ত গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখ হতে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট হেল্পলাইন নাম্বার চালু করা হয়েছে। সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতি রোববার হতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০:০০ ঘটিকা হতে বেলা ৪:০০ ঘটিকা পর্যন্ত উক্ত হেল্পলাইন সার্ভিস হতে সেবা গ্রহণ করা যায়। একইসাথে হেল্পলাইন নাম্বারে হোয়াটসঅয়াপ ও মোবাইল অ্যাপ সার্ভিস চালু রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ওয়েবসাইটে হেল্পলাইনের ( ০১৩১৬-১৫৪২১৬ ও ০১৭৯৫৩৭৩৬৮০ এবং helpline@supremecourt.gov.bd) নাম্বারসমূহ ও ই-মেইল দেওয়া আছে। একইসাথে Online Complain Register নামে বর্ণিত লেখায় প্রবেশ করে নিম্নোক্ত উপায়ে যে কোন প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন। Online Complain Register করার জন্য প্রথমে প্রার্থীকে মোবাইল নম্বর দিয়ে ইউজার আইডি করতে হবে, এরপর নিজের পছন্দমত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে, কনফার্ম পাসওয়ার্ড দিতে হবে, এরপর ইউজার আইডির নাম ও কিছু সিক্রেট প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এবং সর্বশেষ, ডিসপ্লেতে প্রদর্শিত পাঁচ অক্ষর বিশিষ্ট ক্যাপচা নির্ধারিত স্থানে পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। তৈরিকৃত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে আবেদনকারী যে কোন সময় যে কোন অভিযোগ প্রদান করার পাশাপাশি পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন।
এদিকে, হেল্প লাইন সার্ভিস শুরু হওয়ার পর হতে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে হতে আইনি পরামর্শ, মামলা সম্পর্কিত তথ্য ও অভিযোগ দাখিল সংক্রান্ত মোট ২০২৬ টি কল গ্রহণ করা হয়। তন্মধ্যে আইনি পরামর্শ গ্রহণের নিমিত্ত কল আসে ১০৬৮ টি। এছাড়া, বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়ে ৭৭১ টি কল আসে। সবগুলো ক্ষেত্রেই সেবাগ্রহীতাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হেল্পলাইনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান বিচারপতি বরারবর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস হতে অদ্যাবধি মোট ৩৪ টি অভিযোগ এসেছে। উক্ত অভিযোগসমূহ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এখতিয়ার বহির্ভূত হওয়ায় হেল্পলাইনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগকারীকে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করেন।
এছাড়া, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হেল্প লাইনের আদলে দেশের বিভিন্ন জেলা আদালতেও নিজস্ব হেল্পলাইন নাম্বার চালু করা হয়েছে। উক্ত হেল্পলাইনে ফোন করার মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাগণ সংশ্লিষ্ট আদালত সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করে উপকৃত হচ্ছেন।
এভাবে, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট হেল্প লাইন সার্ভিস আইনি সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে যা থেকে সারা দেশের মানুষ উপকৃত হচ্ছে।