নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনি যেনো মূর্তিমান আতংকের আরেক নাম 

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন রাজনীতি সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

# অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম হায়দার ডাবলু এবং নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নঈম মোড়ল ও সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম মোল্যা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলবাজিতে অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান জনি ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আরজি জানিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আবেদন করেন গত ৩১ অক্টোবর। ওই আবেদনে জানানো হয়, এর আগে একই অভিযোগ ১৯ আগস্ট ও ২২ সেপ্টেম্বর দুই দফা জেলা বিএনপিকে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বরাবর পাঠানো হয়। যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনির বিরুদ্ধে অপরাধ কর্মকাণ্ডের নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। বর্তমানে দলের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। সে যদি কোন অপরাধ কর্মকাণ্ড করে থাকে তার ব্যাপারে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। যদি আমাদের কাছে কেউ এবিষয়ে সহযোগিতা চায় দলের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীকে সহযোগিতাও করা হবে। কারও ব্যক্তিগত অপরাধ কর্মকাণ্ডের দায়ভার বিএনপি নিবে না  # সন্ত্রাসী বাহিনী লালন  #  মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালানের অভিযোগ # তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের কাছে অভিযোগেও প্রতিকার মেলেনি #


বিজ্ঞাপন
নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনি।

 

বিশেষ প্রতিনিধি :  যশোরের শিল্প ও বাণিজ্য শহর নওয়াপাড়া। সড়ক, রেল ও নৌ যোগাযোগ থাকায় সার, কয়লা, রড, সিমেন্টসহ নানা পণ্যের রমরমা কারবার এখানে। গড়ে উঠেছে নানা ধরনের শিল্প-কারখানা। শত শত কোটি টাকার ব্যবসার মোকাম এই নওয়াপাড়া।


বিজ্ঞাপন

বিগত দিনে নওয়াপাড়ার ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। ৫ আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন সংগ্রামের ফলে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই দৃশ্যপট পাল্টে যায়।


বিজ্ঞাপন

নওয়াপাড়ার ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠে নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনি। সব কিছুর দখল নিতে তার দৌরাত্ম্যে যশোরের নওয়াপাড়ার ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। আসাদুজ্জামান জনি একের পর এক দখল করে নিচ্ছেন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। তার পালিত সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দিয়ে কেউ ব্যবসা করতে পারছেন না। জনির সন্ত্রাসী বাহিনী মোটরসাইকেল গাড়ি নিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে মহড়া দিয়ে পুরো অভয়নগর জুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বাহিনী লালন, মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, চোরাচালানের অভিযোগ করা হয়েছে।

এসব ঘটনায় বিব্রত অভয়নগর উপজেলা ও নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা জনির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা থেকে শুরু করে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের শরণাপন্ন হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সংগঠনও নানা কর্মসূচি পালন করে চাঁদাবাজ, দখলদারদের শাস্তি দাবি করে। যৌথ বাহিনী জনিকে আটক করতে এক দফা অভিযানও চালায়।

এ ঘটনায় গত বছরের ২০ নভেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আসাদুজ্জামান জনির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে পদ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত করে যশোর জেলা বিএনপি। এরপর আর বেপরোয়া হয়ে উঠে জনি। পদ স্থগিত হলেও তার চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেমে নেই। জনি তার অনুসারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েই যাচ্ছে। জনির এমন কর্মকাণ্ডে অভয়নগর উপজেলা ও নওয়াপাড়া পৌর বিএনপি বিব্রত হলেও জেলা থেকে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, কেন্দ্রীয় ও যশোর জেলা কমিটির কাছে দলের নওয়াপাড়া পৌর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনির বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিএনপি সমর্থক ব্যবসায়ী ইসরাইলের কাদিরপাড়া গ্রামের বাড়ি জোর করে দখল, লুট ও অগ্নিসংযোগ, শহরের তালতলায় ‘ব্রাইট ঘাট’ জোর করে দখল, ওই সময় ঘাটের শ্রমিক সরদার জাকির ও শ্রমিক উজ্জ্বল মাসুদের বাড়ির গরু ধরে নিয়ে বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

অভিযোগে বলা হয়, মাইলপোস্ট এলাকা থেকে ঠিকাদার নওশাদের এক ট্রাক পাথর লুটে নিয়ে বিক্রি করে দেয় জনির লোকজন। এরপর দিন ‘চাকলাদার ঘাট’ দখল এবং ৬০টি মোটর লুট ও মেহগনিগাছ লুট করা হয়।

৯ আগস্ট নওয়াপাড়া বাজারের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মৃত সিরাজুল ইসলাম খোকনের বাড়ির জমি দখল করে নেয় জনির লোকজন। শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপুর এলাকার আওয়ামী লীগ ক্যাডার নজরুল খানকে টাকার বিনিময়ে অফিস প্রতিষ্ঠিত করে দেন জনি।

অভিযোগ, পাঁচ লাখ টাকা চুক্তিতে জনি নওয়াপাড়া হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফাল্গুন মণ্ডলকে পুনর্বাসিত করতে আসেন ১৯ আগস্ট। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফাল্গুনকে দেখে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ করেন। তখন এমরান হোসেন নামের এক শ্রমিককে জখম করে জনির লোকজন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর চেঙ্গুটিয়ার মোসলেম সরদারের মালিকানাধীন ‘রাজধানী ঘাট’ দখল করে জনির লোকজন।

সম্প্রতি অভয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ্ খালিদ মামুনের সাথে ব্যবসায়ীক পার্টনার হয়ে জনি চেঙ্গুটিয়া এলাকায় সাধারণ বালি ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে পুরো বালির ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। শাহ্ খালিদ মামুন অভয়নগর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীরের ভাই।

অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও নওয়াপাড়া পৌর এলাকায় মাদকের বিস্তার বেড়েছে। হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা, দেশি-বিদেশি মদসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। আর এসব মাদকের সিন্ডিকেট পুরাটাই নিয়ন্ত্রণ করছে বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান জনি। নওয়াপাড়া পৌর এলাকার ১-৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মাদক ব্যবসা। এ ছাড়াও রাজঘাট জাফরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রেলক্রসিং, গাজীপুর বাজার, মাইলপোস্ট, তালতলা রেলস্টেশন এলাকা, একতারপুর বাজার, গ্রামতলা ঋষিপাড়া মোড়, গুয়াখোলা ডিএন মোড়, শাহী মোড়, প্রফেসরপাড়া, স্বাধীনতা চত্বর, গরুহাটা, বেঙ্গল রেলগেট, বুইকারা ড্রাইভারপাড়া, বৌবাজার, মিনি বাজার, কলাতলা স্কুল এলাকা, ভাঙ্গাগেটে পৌর ট্রাক টার্মিনাল, আমডাঙ্গা ও চেঙ্গুটিয়া বাজারসহ পৌর এলাকায় নওয়াপাড়া নৌবন্দরের বিভিন্ন ঘাটে মাদকদ্রব্য সেবন ও বিক্রির সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে। মাদককারবারি জনিকে মাসোহারা দিয়েই মাদকের ব্যবসা করছে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মাসিক টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করছে জনি এ অভিযোগও রয়েছে।

বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান জনি নিজেই মাদকাসক্ত। প্রতিদিন ইয়াবা-ফেনসিডিল ছাড়া তার দিন শুরু হয় না। সাথে থাকা সাঙ্গপাঙ্গরাও নেশায় ডুবে থাকে। স্থায়ীনরা জানিয়েছেন, সারারাত জনির নওয়াপাড়া অফিস এবং তার মালিকাধীন নওয়াপাড়ায় অবস্থিত কনা ইকো পার্কে বসে নেশায়বুদ হয়ে থাকে জনি।

অভয়নগর থানায় গত বছরের ১৫ অক্টোবর একটি লিখিত এজাহার দেন সরকার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সাইদ সরকার। এতে বলা হয়, আগের দিন রাত ১০টার দিকে আসাদুজ্জামান জনির নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল হানা দেয় সরকার গ্রুপের কার্যালয়ে। তারা বাকিতে তিন ট্রাক কয়লা দেওয়ার জন্য চাপাচাপি করতে থাকে। রাজি না হওয়ায় সাইদ সরকারের ওপর চড়াও হয় দুর্বৃত্তরা।

তাঁকে মারধর ছাড়াও ক্যাশবাক্সে রক্ষিত নগদ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। সাইদ সরকার এই বিষয়ে পুলিশ ছাড়াও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও বিএনপি নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

থানার তৎকালীন ওসি এস এম আকিকুল ইসলাম এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু জনির বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজ পর্যন্ত অভিযোগটি মামলা হিসেবেও গ্রহণ করেনি পুলিশ।

বিএনপি নেতারা আসাদুজ্জামান জনির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো কবুল করে নিচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, জনির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় নওয়াপাড়ার ব্যবসায়ী-জনতার কাছে প্রমাণিত হয়েছে যে বিএনপি কোনো দুর্বৃত্তের সঙ্গে নেই। দলের নওয়াপাড়া পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মোল্যা বলেন, ‘আপনারা নওয়াপাড়া এসে সরেজমিনে শোনেন। এ নিয়ে বহু কিছু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় জেলা পর্যায়ে বহু অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কোন কাজ হয়নি। তাই এনিয়ে আমরা আর কিছু বলতে চাই না।’

অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম হায়দার ডাবলু বলেন, জনিকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে জেলা কমিটির কাছে। তাতে কোনো কাজ না হওয়ায় কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কাছে আরজি জানানো হয়েছে। এতেও কিছু না হওয়ায় গত ৯ নভেম্বর অভিযোগ দেওয়া হয়েছে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে।

প্রসঙ্গত, অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম হায়দার ডাবলু এবং নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নঈম মোড়ল ও সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম মোল্যা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলবাজিতে অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান জনি ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আরজি জানিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আবেদন করেন গত ৩১ অক্টোবর। ওই আবেদনে জানানো হয়, এর আগে একই অভিযোগ ১৯ আগস্ট ও ২২ সেপ্টেম্বর দুই দফা জেলা বিএনপিকে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বরাবর পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনির বিরুদ্ধে অপরাধ কর্মকাণ্ডের নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। বর্তমানে দলের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। সে যদি কোন অপরাধ কর্মকাণ্ড করে থাকে তার ব্যাপারে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। যদি আমাদের কাছে কেউ এবিষয়ে সহযোগিতা চায় দলের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীকে সহযোগিতাও করা হবে। কারও ব্যক্তিগত অপরাধ কর্মকাণ্ডের দায়ভার বিএনপি নিবে না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসীর জায়গা নেই। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশ চাঁদাবাজ, দখলবাজদের ঠাই বিএনপিতে হবে না। আমরা সেই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জনিকে নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি

এসব অভিযোগের বিষয়ে আসাদুজ্জামান জনি সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে বারবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি বিধায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *