বিশেষ প্রতিবেদক : প্রধান উপদেষ্টার পদের মোটেই দায়িত্ব নিতে চাননি লোকটি।একপ্রকার জোর আবদার করেই তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। লোকটি তখন সমগ্র জাতির কাছে বলেছিলেন-“ঠিক আছে,গ্রহণ করলাম কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কার ও উন্নয়নে আমার পাশে থাকতে হবে আপনাদেরকে,আমার কথা শুনতে হবে এবং আমার কোনো ভুল হলে বা আপনাদের কোনো দাবী থাকলে আমাকে দয়া করে লিখিতভাবে জানাবেন”।

– পৃথিবীতে এরচেয়ে বড় কোনো চমৎকার কথা থাকতে পারে কি? উনার কথা শুনে তখন সবাই তাঁকে সায় দিয়েছিলো সমর্থন জানিয়ে।

কিন্তু মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই ৩০০ সংসদের কাজ মাত্র কয়েকজন উপদেষ্টাকে নিয়ে শুরু করলেন যাদের আর্ধেকই আবার নামকায়াস্তের,বিতর্কিত,আনাড়ি,অপরদিকে রাষ্ট্রের সব শাখায় হাসিনার বহাল থাকা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা;তবুও যখন দ্রব্যমূল্য,রেললাইন,বিদ্যূৎ সহ উন্নয়নের এক একটি ধাপ এগিয়ে চলেছেন,ঠিক তখনই রাজনৈতিক দলগুলো তাঁকে সহযোগিতার পরিবর্তে উল্টো কেবল দাবিদাওয়া ও জরুরতের অধিক চাওয়া ও ধৈর্যহীনতার পরিচয় দেয়া তাকে বিভ্রান্ত করে তোলে।

হাসিনার আমলে কথা বলার সাহস না করাদের ও প্রতিদিন কারো না কারো বিবিধ দাবীতে আন্দোলন,এদিকে ভারতের চাপ,আওয়ামীলীগের অপপ্রচার,সেনা প্রধানের অসহযোগিতা ও শত্রুর চোখে দেখা,বিএনপির নির্বাচন দাবী,জামায়াতের সংস্কার,অন্যান্য ইসলামী দলগুলার সংবিধান পরিবর্তন দাবী,এনসিপির ফ্যাসিস্ট বিচার দাবী,মিডিয়ার মিথ্যাচার;ইত্যাকার বিষয়ে একজন ৮৫ বছর বয়েসী নরম মনের মানুষ কাহাতক সহ্য করে?

উনি যে হার্টফেল না করে এখনো জীবিত আছেন,সেটা অন্য অনেকের পক্ষেই সম্ভব হতো কি?জাতিতে আমরা বাংলাদেশী বলেই লোকটি এখন ক্ষমতায় থাকলে একই পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে আর ক্ষমতা ছাড়লেও বলা হবে লুটপাট করে সব নিয়ে গেছে ইউনূচ।তো করণীয় কি?
কেন তাকে এই পদে বসানো হলো? নাকি হাসিনা ও আওয়ামীলীগের মতো বলবেন,-“ইউনূচ ক্ষমতালোভী,সে নিজেই সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে”? আমরা কবে মানুষ চিনবো?