
নিজস্ব প্রতিনিধি (পার্বত্য চট্টগ্রাম) : পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান পরিস্থিতি শান্ত করে পাহাড়ে বসবাসরত বাসিন্দাদের মাঝে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ। ৩০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার গণমাধ্যম পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এই আহবান জানান সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ এর প্রধান সমন্বয়ক মোঃ মোস্তফা আল ইহযায।
এসময় তিনি বলেন, পাহাড়ে বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দাদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধে করা জরুরি। তাই কোনরূপ গুজবে কান না দিয়ে, সকল সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীকে শান্ত থাকতে হবে এবং সাধারণ জনগণের ক্ষয়ক্ষতি হয় এমন যেকোনো কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ও গুজব প্রতিরোধে প্রশাসনকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে, প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কঠোর থাকতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আমাদের দেশের এক অনন্য সম্পদ, যেখানে ভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মের মানুষ যুগ যুগ ধরে মিলেমিশে বসবাস করছে। এই অঞ্চলের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে অঞ্চলটি নিয়ে আন্তর্জাতিক ভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্র কারীরা কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পাহাড়ের মানুষ – বাঙ্গালি হোক বা অবাংঙ্গালি সবাই এই মাটির সন্তান। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া ও সহমর্মিতার ভিত্তিতেই এখানে স্থায়ী শান্তি ও উন্নয়ন সম্ভব। বিভেদ নয়, ঐক্যই আমাদের শক্তি।
আমরা সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শন, গুজব এড়িয়ে চলা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি অপরাধের ন্যায়ভিত্তিক সমাধান ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান।

আসুন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে প্রতিহিংসা, জাতিগত সংঘাত, সাম্প্রদায়িক বিভাজন দূর করে সম্প্রতি, ভালোবাসা, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের ভূমি হিসেবে গড়ে তুলি।
সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ এর প্রধান সমন্বয়ক মোঃ মোস্তফা আল ইহযায আরও বলেন- সম্প্রতি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দিতে হবে। সেইসাথে উক্ত ঘটনাকে পুঁজি করে জেলার শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের করতে হবে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটের তার জন্য সরকার কে সজাগ থাকার আহবান জানান।
Post Views: 216