বালিঘোন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর প্রশাসনিক সংবাদ বরিশাল বিশেষ প্রতিবেদন শিক্ষাঙ্গন সারাদেশ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  :  ঝালকাঠি সদর উপজেলার বালিঘোনা শাহ মাহমুদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। স্কুলের সাবেক সভাপতি ফরিদুল ইসলাম খসরু মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক বরাবরে প্রধান শিক্ষক ফয়সাল আহমেদ শাহিনের বিরুদ্ধে গত ১০ মার্চ একখানা লিখিত অভিযোগ করেন। মাউশি’র মহাপরিচালকের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল ১১টায় স্কুলের অফিস কক্ষে জেলা শিক্ষা অফিসার আ: জব্বার সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।


বিজ্ঞাপন

এসময় শিক্ষক-কর্মচারী, ব্যবস্থাপনা কমিটির বর্তমান ও প্রাক্তন সদস্য ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা শিক্ষা অফিসার আ: জব্বার প্রতিষ্ঠানের রেজুলিউশন বহি ও শিক্ষক হাজিরা খাতা চেক করলে সভাপতির স্বাক্ষরে ফ্লুইড ব্যবহার করতে দেখা যায়। এছাড়াও তিনি প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীর ইন্টারভিউ নেন।


বিজ্ঞাপন

তিনি এলাকার উপস্থিত গন্যমান্য ব্যক্তিদের বক্তব্য মনযোগ সহকারের শোনেন। এসময় বক্তব্য রাখেন ১নং গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি সৈয়দ হুমায়ূন কবির, সাধারণ সম্পাদক শরীফ সুমন ও সাবেক মেম্বর মো: শহিদুল ইসলাম।


বিজ্ঞাপন

জেলা শিক্ষা অফিসার আ: জব্বার বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রধান শিক্ষক এক জিনিস নয়। প্রধান শিক্ষকের দোষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দোষী হতে পারে না।


বিজ্ঞাপন

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার আপন গতিতে চলবে। যেমন মাঝি নৌকা চালিয়ে নেয় কিন্তু নৌকা নিজে নিজে চলতে পারে না। তিনি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে সকলের দৃষ্টি রাখা উচিত।

প্রধান শিক্ষক ও সাবেক ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: ফয়সাল আহমেদ শাহিন বলেন, সাবেক সভাপতি মো: ফরিদুল ইসলাম খসরু আমাদের ৪জন শিক্ষকের নিয়োগের সময় অর্থ দাবী করেছিলেন।

আমাদের বিল হওয়ার পর তাকে কোন অর্থ না দিলে সে আমদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এরপর থেকে আমার বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

সাবেক সভাপতি ফরিদুল ইসলাম খসরু বলেন, “প্রধান শিক্ষক আমার স্বাক্ষর জাল করে রেজুলিউশন করেছে জানতে পেরে আমি মাউমি’র ডিজি বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছি। জেলা শিক্ষা অফিসার এ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক উত্থাপিত আর্থিক লেনদেনের অভিযোগের তার কাছে কি কোন প্রমান আছে?”


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *