আবাসিক হোটেলে সিতুল মুনা।

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী মিরপুরে নয়টি বিয়ের পিঁড়িতে বসা সিতুল মুনা সেক্স ট্যুরে যাওয়ার কারণে পাতানো স্বামীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব চরম আকার রূপ নিয়েছে। তিন বছরের পাতানো সংসার জীবনে ফাটল ধরার কারণে বিপাকে পড়েছে মুনা। তার অপকর্মের দায় অস্বীকার করলে পাতানো স্বামীর হাতে আবাসিক হোটেল এবং রিসোর্টের ছবি হাতে পেয়ে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে তার স্বামী।

মাথা খারাপ হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। সিতুল মুনা সব সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও তার অপকর্মের সকল তথ্য স্বামীসহ একাধিক গণমাধ্যমের হাতে ঘুরপাক খাচ্ছে।

জানা গেছে চট্টগ্রামের মেয়ে সিতুল মুনা মিরপুর- ২ আমিনার্স পাল ডিভোর্সি স্বামীর ফ্ল্যাটে বসবাস করছে। সাবেক ৯ জন স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে তিন বছর আগে পরকীয়া স্বামী মোস্তফা কে নিয়ে সংসার শুরু করেন।

স্বামীর অজান্তে বিভিন্ন বাসায় ,আবাসিক হোটেল ,গেস্ট হাউসসহ ঢাকার বাইরে একাধিক রিসোর্টে রাত কাটানোর অভিযোগ পাওয়ায় স্বামীর সঙ্গে ঘটেছে বিপত্তি।

বিষয়টি আগে না জানলেও সাম্প্রতিক স্বামীর হাতে এসব গোপন তথ্য প্রমাণ হাতে আসলে দ্বন্দ্ব চরম আকারে রূপ নেয়। তবে অবৈধ ঘটনাটি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়লে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে এ পুরুষলোভী নারী।
এদিকে মুনার পরকীয়া স্বামীর সাথে মোবাইলে কথোপকথনে উঠে এসেছে এসব বিতর্কিত আলোচনা। ওই সময় মুনা বলে, তুমি এখন বাসায় আসছো না আমার ফোন কল ঠিকমতো রিসিভ করছো না কেন?
এ আলোচনা সূত্র ধরে জানা গেছে দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত। পাতানো স্বামী মোস্তফা বলেন , তুমি আমার অজান্তে আবাসিক হোটেল , রিসোর্টৈ যাও আমি বরদাস্ত করতে পারছি না।
তিন বছর তোমার সাথে সংসার জীবনে আমার ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছো। তোমার কারনে আমি অপহরণ ,হত্যা মামলার আসামি হয়েছি।
আমার এ ক্ষতিপূরণ কে দিবে। আবার তুমি আমার অজান্তে বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে বিভিন্ন বাসায় , আবাসিক হোটেল, রিসোর্টে গিয়ে দেহ ব্যবসা লিপ্ত হয়েছে এগুলো সত্যিই অনাকাঙ্ক্ষিত। আমার মানসম্মান শেষ। তবে আমার কাছে থেকে নেওয়া ৬০ লাখ টাকা এবং মামলা থেকে খালাস করিয়ে দিতে হবে।