সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের সাদাপাথর লুটপাটে “সেইভ দ্যা হিউম্যান”-এর মানববন্ধন

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজনীতি সংগঠন সংবাদ সারাদেশ সিলেট

নিজস্ব প্রতিনিধি (সিলেট)   : সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা  ও ব্যর্থতায় সাদাপাথর লুটপাট চলমান রয়েছে। এই পাথর লুটের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে শনিবার (১৬ আগষ্ট ২০২৫) দুপুর সাড়ে বারোটায় সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র (স্পটে) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে “সেইভ দ্যা হিউম্যান” নামে একটি মানবাধিকার সংগঠন।


বিজ্ঞাপন

সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র সহ রেলওয়ে রোপওয়েটি (বাঙ্কার) সংরক্ষিত এলাকা নিশ্চিহ্ন পাথরখেকোদের গত ১ বছরে দুর্দান্ত দুর্ধর্ষ লোপাটের মহোৎসবে “ধলা সোনা” খ্যাত সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র থেকে সাদা পাথর শূণ্য আরেকদিকে রেলওয়ে রোপওয়েটি (বাঙ্কার) সংরক্ষিত এলাকা নিশ্চিহ্নের মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সেইভ দ্যা হিউম্যান এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মহসিন, নির্বাহী পরিচালক ফারুক আহমেদ শিমুল, আইনবিষয়ক পরিচালক ওমর ফারুক, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মাহবুব আলম চৌধুরী জীবন, মানবাধিকার কর্মী ফাতেমা আক্তার, তরুণদের আইডল মানবাধিকার কর্মী মোঃ ছমরু মিয়া, শাহাদাত হোসেন জাবেদ সহ স্থানীয় অচেতন অনেকে।


বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে বক্তাদের বক্তব্যে উঠে আসে বিশেষ করে সিলেট পুলিশের এসপি ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সহ স্থানীয় প্রশাসনের ছত্রছায়ায় রাজনৈতিক নেতাদের নেতৃত্বে অবাধে নির্বিচারে নির্বিঘ্নে পাথরখেকোদের হিংস্র থাবায় সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র প্রায় পাথর শূন্য হয়ে গেছে।


বিজ্ঞাপন

বক্তব্যে বক্তারা বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ইউএনও ও জেলা প্রশাসক সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার কারণেই পাথর ও বালু লুট বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। এই দায়ভার অবশ্যই স্থানীয় প্রশাসনের এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে বিচারের জোরালো দাবী জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন

মানবাধিকার কর্মীরা আরও বলেন, সরকারের উচিত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই লুটপাটের নেপথ্যে কারা কারা জড়িত তা দেশের মিডিয়ায় এসেছে এবং স্থানীয় প্রশাসন সহ জেলা প্রশাসন এমনকি বিভাগীয় কর্মকর্তাদেরও জানা রয়েছে।

প্রকৃত দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে জোর দাবী করেন মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে। শ্রমিক নামধারী লুটপাট চাঁদাবাজিতে রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতাদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখে তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের কর্মকর্তা সহ খনিজ ও পরিবেশ এবং রেল মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সবাইকে আহবান জানান মানবাধিকার কর্মীরা। এবং টেকসই পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের স্বার্থসংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *