বিয়ের নামে প্রতারণা হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা প্রত্যেক স্বামীর বিরুদ্ধে-ই মিথ্যে মামলা

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর বরিশাল বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি  : স্কুলে পড়াকালীন প্রথম বিয়ে তার। সেই স্বামীর সংসারে থাকা অবস্থায় পরকীয়া করে দ্বিতীয় বিয়ে। টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়ে ছাড়েন দুই স্বামীর সংসার। পরে   ট্রাপে ফেলে করেন তৃতীয় বিয়ে। তার কয়েক মাসের মধ্যেই আরেক যুবককে ব্ল্যাকমেইল করে সেরে নেন আরও একটি বিয়ে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ছয়টি বিয়ে সারা হয়েছে তার। আর এসব বিয়ের পেছনে রয়েছে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের নানা কাহিনি।


বিজ্ঞাপন

তার নাম তাসলিমা বেগম ওরফেত তাসলি (৪৮)। বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের দেউলি গ্রামের মো সানু মাতুব্বরের মেয়ে।

সম্প্রতি এই নারীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন গ্রামের অর্ধ শতাধিক মানুষ। তাদের ভাষ্য, তারা তাসলির নানারকম প্রতারণার শিকার।


বিজ্ঞাপন

স্থানীয়দের দাবি, বিয়ে করাই যেন তাসলির নেশা ও পেশা। বিবাহিত-অবিবাহিত যুবকদের একের পর এক ফাঁদে ফেলে সবকিছু হাতিয়ে নেওয়াই তার কাজ। আর এ কাজ করতে গিয়ে সে নিজেকে কখনো তাসলিমা বেগম , কখনো তাসলি, পরিচয় দেন।


বিজ্ঞাপন

তাসলিমা ওরফে তাসলির সর্বশেষ প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারানো তার ছেলের চেয়েও কম বয়সী হাবিবুর রহমান ২৮ । এ ছাড়াও প্রতারণার শিকার অর্ধশতাধিক মানুষ ছয়বার স্বামী পাল্টানো তাসলিমা বেগম ওরফে তাসলির শুধু বিয়ে নাটকই নয়, এখন অসামাজিক কর্ম কাজের ডকুমেন্টারি তৈরি করে অর্থও হাতিয়ে নিচ্ছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তাসলিমা বেগম ওরফে তাসলি স্কুলে পড়াকালে প্রথম বিয়ে করেন ঢাকার আব্দুর রাজ্জাক আলী নামের একজন কে। প্রথম সংসার জীবন ২ টি ছেলে মেয়ে রয়েছে এর মধ্যেই ফেনীর লিটন নামে এক যুবকের সাথে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে দুই সন্তান নিয়ে চম্পট দেন কিছুদিন পরে প্রথম স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে হাতিয়ে নেন কয়েক লক্ষ টাকা।

দ্বিতীয় সামির ঘরে তিনটি বাচ্চা রেখে আবারো পরকীয়া আসক্ত হয়ে একই এলাকার মনা কাজীর ছেলে সোহেল কাজির সাথে পরকিয়া আসক্ত হয়ে দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।এবং তার কাছ থেকে জমিজমা সহ কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।

তৃতীয় স্বামীর সোহেলের ঘরে কোন সন্তান নেই তার সাথে কিছুদিন সংসার করার পরে গারুরিয়া ইউনিয়নের ডিঙ্গারহাট এর আবু বক্কর নামে এক যুবকের সাথে পরকিয়া করে ভেগে যান, মামলা দেন তৃতীয় স্বামী সোহেল এর বিরুদ্ধে,চতুর্থ স্বামী আবু বকরের সংসারে থাকা কালীন তিনি বিভিন্ন হোটেলে রাত্রি যাপন করা শুরু করেন এ নিয়ে দ্বন্দ্বে একপর্যায়ে আবু বকরের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক লক্ষ টাকা পরবর্তীতে হাবিবুর রহমান নামে একজনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য কয়েক লক্ষ টাকা ধার বাবদ নেন হাবিব তাসলির অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে ফিরে আসার এবং পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাদের ভিতর দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান জানান আমার সাথে তসলিমা বেগম তাসলির সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল আমাকে একদিন তাদের বাসায় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক তার সহযোগীরা আমাকে আটকে রাখেন এবং সকালে এক কাজির চেম্বারে নিয়ে ছবি তুলে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে বলেন, বিয়ে হয়ে গেছে।’ ‘এর কয়েক দিন পরই তিনি আমার কাছে টাকা দাবি করেন।

টাকা দিতে রাজি না হলে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকেন আমি তাকে অন্য পুরুষের সাথে হাতেনাতে ধরে আদালতের মাধ্যমে তাকে ডিভোর্স দিয়ে ।

এক পর্যায়ে তসলিমা   ওরফে তসলি বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট আদালতে আমার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেন।’কিছুদিন পরে তাসলিমা বেগম ওরফে তাসলি বাকেরগঞ্জ থানায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন জিডি করেন এসআই ফোরকান আমাকে অবহিত না করেই মিথ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। আমি এদের হাত থেকে রেহাই পেতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *