ছবিটি বন্দরখেকো তরফদার রুহুল আমিনের সাথে নুর একান্ত আলাপচারিতার এক পর্যায়ে তোলা।

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত বছরের ৫ আগষ্টে সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের কয়েকদিন পর রাজধানীর একটি হোটেলে শেখ রেহানার ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত বন্দরখেকো সাইফ পাওয়ার টেকের কর্নধর তরফদার রুহুল আমিনের সাথে বৈঠক করে নুরুল হক নুর। সরকার পতনের পর তরফদার রুহুল আমিনকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য-ই মিটিংটি’র আয়োজন করা হয়েছিল।
গত ১৩ ই মে রাতে এইচ বি এম ইকবালের মালিকানাধীন অভিজাত হোটেল রেনেসাঁ (গুলশান) ১৩০১ নাম্বার রুমে তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে গোপন মিটিং করেন গণধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নূর।

নুরুল হক নুরের অন্যতম আড্ডাস্থল হইলো হোটেল রেনেসাঁ! ওই হোটেলে তিনি খান দান ঘুমান,যাই কিছু করেন,কোন বিল দেয়া লাগে না। কারণ হোটেল রেনেসাঁর মালিক প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক আওয়ামী এমপি এইচবিএম ইকবালের সাথে নুরের একটা সমঝোতা হয়েছে বলে জানা গেছে ।

অনেকেই উপদেষ্টা আসিফের ওয়েস্টিনে নাস্তা করা নিয়ে প্রশ্ন করে। কিন্তু নূর যে ফাইভস্টারে নিয়মিত আড্ডা রাজনৈতিক কর্মকান্ড, বিভিন্ন প্রকারের ভিভিআইপিদের সাথে মিটিং করেন তার আয় কত। সমালোচকদের প্রশ্ন বিকাশ, নগদ বা রকেট সহ অন্যান্য মাধ্যমে আসা লিকুইড মানি দিয়ে কি ফাইভ স্টারে খাওয়া যায়?
সবশেষ কিছুসময় আগে তৌহিদ আফ্রিদি এবং তার বাপের পক্ষ নিয়ে হঠাৎ করে ফেসবুক পোস্টে একটা বিরাট গল্প লিখেছে নুর। শুধু ই কি ফেসবুক পোস্ট ? না তৌহিদ আফ্রিদি ও তার বাবাকে নিয়ে রীতিমতো লাভে এসে মাই টিভি নাকি অন্য কোন পক্ষ অবৈধ ক্ষমতা ব্যাবহার করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি তার লাইভে এটাও দাবি করেন কে বা কারা মাই টিভির মালিক লাকী ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদির কাছে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছেন।
বিশেষ সুত্রের দাবি রেনেসাঁ হোটেলে আফ্রিদির সাথে দেখা হওয়ার পর ব্যাগ নিয়ে বের হয়েছিল নুর। এখন তাদের বিপদের সময় একটু পক্ষে কথা না বললে ,কালোর ব্যাগ ফেরত চাইতে পারে তৌহিদ আফ্রিদি ও তার বাবা লাকী।