শাকিল হোসেন, (গাজীপুর) : কালিয়াকৈর পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীরা কাজে যোগ না দেয়ায় বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়ছে গ্রাহকরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারীরা বিভিন্ন দাবি আদায়ের গণছুটির নামে কাজে অনুপস্থিত পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীরা যে দাবিগুলো তুলেছেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের গঠিত দুটি কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ, চুক্তিভিত্তিক মিটার রিডার, লাইন শ্রমিক ও বিলিং সহকারীদের নিয়মিতকরণ, অন্যায়ভাবে বরখাস্ত কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল,জরুরি সেবায় নিয়োজিত লাইন-ক্রুদের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ,দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।

কালিয়াকৈর জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৪টি জোনাল অফিসে মোট ২৬৪ কর্মচারীর মধ্যে ২০৬ জনই অনুপস্থিত। এর ফলে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কোনো কাজই ঠিকমতো হচ্ছে না।
ফুলবাড়িয়া অফিসের ডিজিএম আব্দুল খালেক জানান, তার অফিসে ৩১ জন কর্মচারী ছুটির আবেদন করেছেন, এখন শুধু একজন ক্যাশিয়ার দায়িত্ব পালন করছেন।

মৌচাক অফিসের ডিজিএম রফিকুল আজাদ বলেন, এখন আমার অফিসে মাত্র একজন লাইনম্যান কাজ করছেন। ভাড়া করে লোক এনে জরুরি কাজ চালাতে হচ্ছে।

চন্দ্রা অফিসের ডিজিএম জসিম উদ্দিন জানান, কর্মচারীদের কাজে ফেরাতে চেষ্টা চলছে, কিন্তু তারা দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
কালিয়াকৈর অফিসের ডিজিএম সাহারুল ইসলাম বলেন, অনুরোধ ও নির্দেশনা দিয়েও কর্মচারীদের কাজে ফেরানো যাচ্ছে না।
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ-১ এর প্রধান কার্যালয় ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে বারবার কাজে যোগদানের নির্দেশনা দেওয়া হলেও কর্মচারীরা তা মানছেন না।
কালিয়াকৈর থানার ওসি আব্দুল মান্নান জানান, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে কর্মচারীদের ছুটির তালিকা থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। তারা এখনও কাজে যোগ দেননি।
অফিসগুলো প্রায় ফাঁকা থাকায় গ্রাহকরা জরুরি সেবা পাচ্ছেন না। কেউ কেউ বাইরে থেকে শ্রমিক এনে সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান করছেন। বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।