!!  গোপালগঞ্জের  কোটালীপাড়ায় ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ  !!   প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে শঙ্কা !!  দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস ইউএনওর !  

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজনীতি সারাদেশ

মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী  :  গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ দেওয়ায় শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হিরণ ইউনিয়নের বিভিন্ন মণ্ডপের পূজারি ও ভক্তরা জানিয়েছেন, বাঁধ অপসারণ না হলে নদীপথে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।


বিজ্ঞাপন

জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা ব্যয়ে পয়সারহাট-গোপালগঞ্জ খাল খনন প্রকল্পের কাজ শুরু হয় গত বছরের ১ আগস্ট। বগুড়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আতাউর রহমান খান লিমিটেড এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে। খাল খননের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় এক বছর আগে ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ দেয়। বর্তমানে বর্ষার কারণে খননকাজ বন্ধ থাকলেও বাঁধটি সরানো হয়নি। ফলে নদীপথে যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

তারাশী কর্মকারবাড়ি সর্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপের সভাপতি গোশাই কর্মকার বলেন, “প্রতি বছর বিজয়া দশমীর দিন আমরা নৌকাযোগে প্রতিমা ঘাঘর নদীতে নিয়ে যাই এবং সেখানে বিসর্জন দিই। কিন্তু এ বছর বাঁধ থাকার কারণে নৌকায় প্রতিমা আনা-নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে আমরা সবাই দুশ্চিন্তায় আছি।”


বিজ্ঞাপন

ঘাঘর বাজারের ব্যবসায়ী রনজিত কুমার সাহা জানান,
“প্রতিমা বিসর্জনের সুবিধার্থে বাঁধ অপসারণের দাবিতে আমরা ১০০ জন স্বাক্ষরযুক্ত আবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে আমরা উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।”


বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, “বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত বাঁধ অপসারণ করা হবে, যাতে দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়।”

স্থানীয়দের দাবি, প্রতিমা বিসর্জন দুর্গাপূজার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। তাই দ্রুত বাঁধ অপসারণ না হলে পূজার আনন্দ ম্লান হয়ে যাবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *