আখাউড়ায় খুনের ঘটনায় পাল্টা মামলায় শংকিত পরিবার

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মো: হাবিবুর রহমান,  (আখাউড়া) :  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ছেলেকে মারধরের প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের হামলায় ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশে খুন হন খায়রুন নাহার বেগম (৪৫)। এ ঘটনায় মামলা করে উল্টো বিপাকে খায়রুন নাহারের পরিবার।
তার পরিবার, মামলার সাক্ষীসহ এলাকার মানুষের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারটি শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে।
নিহত খায়রুন নাহার বেগম উপজেলার সেনারবাদী গ্রামের ধনু মিয়ার স্ত্রী। আজ বুধবার  ১ অক্টোবর  দুপুরে খায়রুন নাহারের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে পরিবারের লোকজন তাদের শঙ্কার কথা জানান। এ বিষয়ে তারা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাÐের দুইদিন আগে গ্রামের কয়েকজন যুবক একটি অপরিচিত মেয়েকে নিয়ে এলাকায় ঘুরাফেরা করছিলো। এ সময় খায়রুন নাহার বেগমের ছেলে হৃদয় তাদের কাছে মেয়েটির পরিচয় জানতে চাইলে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে তারা হৃদয়কে মারধর করে গুরুতর আহত করে। ঘটনার দিন প্রতিপক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে উভয় পক্ষেও মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে খায়রুন বেগমসহ কয়েকজন আহত হন।
স্থানীয়রা খায়রুন বেগমকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খায়রুন বেগমের মেয়ে তানিয়া আক্তার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙেঙ্গ পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমার মায়ের হত্যাকারিদের ফাঁসি চাই। কিন্তু এখন আমরা নিজেরাই শঙ্কার মধ্যে আছি। থানায় একটি ও আদালতে দু’টি মামলা দেওয়া হয়েছে। ওরা খুব প্রভাবশালী। যেকোনো সময় আমাদেও অনেক ক্ষতি করে ফেলতে পারে। স্বামী ধনু মিয়া বলেন, ‘মারধরের পাশাপাশি এক ধরণের বিশেষ ইলেকট্রিক যন্ত্র দিয়ে আমার স্ত্রীকে মারা হয়।
পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে একজনকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। আমরা মামলা দায়ের করেছি। এখন আবার তারা আমাদের বিরুদ্ধে দোকান লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগ দিয়ে মামলা করে হয়রানি করছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সেনারবাদী গ্রামের মো. রাসেল নামে এক ব্যক্তি হলেন, ‘হত্যা মামলায় আমি সাক্ষী। এখন আমাকে হয়রানি করতে মিথ্যা একটি মামলায় আসামী করা হয়েছে। যে টং দোকানে বসার মতো জায়গা নেই সে দোকান থেকে নাকি দু’টি ফ্রিজ, ২০ বস্তা চালসহ নিয়ে গেছি। আমার মতো ওই পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধেও মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে আমি সত্য বলতে পিছপা হবো না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *