শ্রীপুরে ফোর মার্ডারের ঘটনায় আরও ৫ জন আটক

অপরাধ আইন ও আদালত

নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার


বিজ্ঞাপন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর অদূরে গাজীপুরের শ্রীপুরের চাঞ্চল্যকর ফোর মার্ডার (মা ও তিন সন্তন)কে গলাকেটে হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় আরও পাঁচজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
বুধবার গাজীপুরের শ্রীপুরের বিভিন্ন এলাকা অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। তবে, তাৎক্ষনিক ভাবে আটককৃতদের নাম জানা যায়নি।
র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার বুধবার দুপুর সাড়ে ৩টায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আটকদের কাছ থেকে লুট করা নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও তাদের পরিধেয় রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে।
অপরদিকে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, মা ও তিন সন্তান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৩পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে গাজীপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রত্যাহারকৃত কর্মকর্তারা হলেন, শ্রীপুর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মো. তারিকুজ্জামান, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) খন্দকার সোহেল রানা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর মোল্লা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের জৈনা বাজার (আবদার) এলাকায় মা ও তিন সন্তানকে জবাই করে হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন এসআই আবু জাফর মোল্লা। আর শ্রীপুর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) হিসেবে জেলার কালীগঞ্জ থানার গোলাম সরোয়ার ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হিসেবে কালিয়াকৈর থানার মনিরুজ্জামান খানকে পদায়ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) শ্রীপুরের জৈনা বাজার এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে মালয়েশিয়া প্রবাসী রেদোয়ান হোসেন কাজলের স্ত্রী স্মৃতি আক্তার ফাতেমা (৪৫), তার বড় মেয়ে সাবরিনা সুলতানা নুরা (১৬), ছোট মেয়ে হাওয়ারিন (১২) ও প্রতিবন্ধী ছেলে ফাদিলের (৮) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রোববার রাতে পারভেজ নামে একজন গ্রেফতার হয়। তারই তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল র‌্যাব আরো ৫জনকে গ্রেফতার করেছে।


বিজ্ঞাপন