সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রেতাত্মা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ যাহরার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  : সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রেতাত্মা চিহ্নিত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের (এমপিএম ইউ) গবেষণা কর্মকর্তা( খাদ্যের জৈবিক ব্যবহার ও পুষ্টি শাখা) ড. ফাতেমা তুজ যাহরার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, কর্তব্য পালনে অবহেলা, ক্ষমতার অপব্যবহার, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ” বিশেষ ঘনিষ্ঠতা থাকায়” সহকর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।


বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিশেষ সুবিধাভোগী ছিলেন। তার পিতা, স্বামী,ভাসুরসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিশেষ সুবিধা নিয়েছেন। ফাতেমা তুজ যাহরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়েছিলেন। ছাত্র জীবনে তিনি ও তার স্বামী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ মুশতাক আহমেদ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের শাসনামলে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অফিসে ড্যামকেয়ার ছিলেন। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেয়ার করতেন না। এখন রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভোল পাল্টে পূর্বের আচরন অব্যাহত রেখেছেন।


বিজ্ঞাপন

বর্তমানে এমপিএম ইউ এর ডিজির ” ঘনিষ্ঠ” হবার সুবাদে তিনি অফিসের চেইন অব কমান্ড মানছেন না। তার পদ মর্যাদা অনুযায়ী কমন রুমে অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে একসাথে বসার কথা। কিন্তু ডিজির সাথে বিশেষ সখ্যতার কারনে তিনি পৃথক এসি রুমে বসেন। অফিসের ডেকোরাম ভঙ্গ করলেও তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। কেউ তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তাকে তাকে নানাভাবে হয়রানি করেন । এমনকি বহিরাগতদের দিয়ে হুমকি প্রদান করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।


বিজ্ঞাপন

তিনি অফিসিয়াল নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেন না। যখন ইচ্ছা অফিসে আসেন আবার যখন ইচ্ছা অফিস ত্যাগ করেন। অফিস চলাকালীন সময়ে টিএসসিতে সহকর্মী ও বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া তার রুটিন ওয়ার্ক।

ফাতেমা তুজ যাহরার পরকিয়া প্রেমের গল্প টক অফ দা ফুড মিনিস্ট্রি। এসব নিয়ে তার স্বামীর সাথে অনেক ঝামেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি ফাতেমা তুজ যাহরা তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় জিডিও করেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
নিয়ম নীতি ভঙ্গ করে বিদেশ সফর ফাতেমা তুজ যাহরার ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন সাবেক উপ সচিব এর সাথে ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত চীন সফরকালে ফাতেমা তুজ যাহরার আচার আচরণে সফরসঙ্গী জুনিয়র অফিসাররা বিব্রত হয়েছেন। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ ঘনিষ্ঠতা থাকায় তিনি বিদেশ সফর বাগিয়ে নেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

ফাতেমা তুজ যাহরার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ হচ্ছে ফাইল আটকে ঘুষ আদায়। ঘুষ ছাড়া তিনি কোন ফাইল ছাড়ে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবি করেছেন।

এবিষয়ে ফাতেমা তুজ যাহরার বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় বিধায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না  ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *