নিজস্ব প্রতিবেদক : গণমাধ্যমে স্বাধীনভাবে কাজ করার উপযোগী পরিবেশ ও এর কর্মীদের স্বাস্থ্যনিরাপত্তা এবং নিয়মিত বেতনভাতার পাশাপাশি আপদকালীন ঝুঁকিভাতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। রোববার সকালে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ আহ্বান জানান।
রিজভী আহমেদ বলেন, সরকারের আজ্ঞাবহ গণমাধ্যমের ভিড়ে কিছু কিছু মিডিয়া নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ভয়াবহ মারণঘাতী করোনা দুর্যোগেও জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করেই নাগরিকদের বস্তুনিষ্ঠ তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতে ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ফ্রন্টলাইনে গণমাধ্যমকর্মীরা সাহসী ভূমিকা পালন করছেন। ইতোমধ্যে কোভিড-১৯-এ দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক হুমায়ুন কবির খোকন মারা গেছেন। বহু সংবাদকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, কর্মহীন দুস্থদের ত্রাণ বিতরণে জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দুর্নীতির সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাংশের সংশ্লিষ্টতার সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্নভাবে বাধা, হয়রানি ও নির্যাতন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেচ্ছ অপপ্রয়োগের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত রাখা ও সাংবাদিকদের সেলফ-সেন্সরশিপে বাধ্য করার প্রয়াস চলছে। গ্রেফতার ও মামলা দেয়া হচ্ছে। হামলা করা হচ্ছে। আমরা এই নিবর্তনমূলক আচরণের নিন্দা জ্ঞাপন করছি। একই সঙ্গে, গণমাধ্যমকর্মীদের সাহসী ভূমিকা অব্যাহত রাখতে গণমাধ্যমের স্বাধীনভাবে কাজ করার উপযোগী পরিবেশ ও এর কর্মীদের স্বাস্থ্যনিরাপত্তা এবং নিয়মিত বেতনভাতার পাশাপাশি আপদকালীন ঝুঁকিভাতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
ত্রাণ বিতরণে সারাদেশে চরম অনিয়ম চলছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে। ভয়াবহ মহামারি করোনাভাইরাসের নগ্ন থাবার দমবন্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও মুখ চিনে চিনে সরকারি দল করে-এমন লোকজনদেরকে ত্রাণ সাহায্য দেয়া হচ্ছে। অধিকাংশ জায়গায় প্রকৃত অসহায় দুস্থরা বঞ্চিত হচ্ছেন। ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তার জন্য অনেকে ছুটে বেড়ালেও পাচ্ছেন না। ফলে অসংখ্য কর্মহীন দরিদ্র মানুষ নিত্যদিন উপোস থাকছে।
তিনি বলেন, সরকারের পূর্ব প্রস্তুতির অভাবে চিকিৎসা উপকরণ, রোগ-নির্ণয়, চিকিৎসা ব্যবস্থা কিছুই নেই আমাদের। দীর্ঘসময় পেলেও অপরিণামদর্শী আহাম্মকির কারণে বাংলাদেশে করোনার আঘাত এখন ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। গত কয়েক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য ওঠানামা করলেও এখন আর ৩-৪শ’র নিচে নামছে না।
তথ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি সরকারি ত্রাণের লুটপাটের উৎসবের সঙ্গে জড়িত নয়। তাই তথ্যমন্ত্রীর বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রম চোখে পড়ছে না।