শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন রাজধানী রাজনীতি

শিশু অধিকার সপ্তাহ উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী


বিজ্ঞাপন

 

বিশেষ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে যেকোনো ধরনের শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় সরকার সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। তিনি বলেছেন, আমরা শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিচ্ছি। যেকোনো ধরনের শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে যাতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া যায় আমরা সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছি। সোমবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২০ এর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার চায় শিশুরা নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকুক, সুন্দর জীবন হোক এবং ভালো মানুষ হয়ে উঠুক। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংসতার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো শিশুর মৃত্যু আমাকে সাংঘাতিকভাবে নাড়া দেয়… সেটি আমাদের দেশে ঘটুক বা বিদেশে। এ ধরনের প্রতিটি ঘটনা আমাকে কষ্ট দেয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি চান এই পৃথিবী শিশুদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য, বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ জায়গা হোক, যেখানে তাদের প্রত্যেকেরই উজ্জ্বল ভবিষ্যত হবে। শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিশুদের দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন।
শিশুদের প্রতিভা, জ্ঞান এবং বুদ্ধি বাড়ার সুযোগ আমাদের দিতে হবে। তাদের পড়াশোনা এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করার মাধ্যমেই এটি সম্ভব। এটি শিশুদের জন্য একটি উন্নত জীবন নিশ্চিত করবে যা তাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যত তৈরি করবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দেশের স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় শিশুরা খুব খারাপ দিন পার করছে। এটি তাদের জন্য খুব কষ্টের।
প্রধানমন্ত্রী বাবা-মা এবং অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান, তারা যেন শিশুদের অন্তত এক ঘণ্টার জন্য হলেও বাড়ির বাইরে নিয়ে যান যেখানে শিশুরা খেলতে পারে। এটি তাদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজন। আমাদের সকলকে শিশুদের সুস্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা বজায় রাখতে হবে, বলেন তিনি।
মহামারি চলাকালে যেন স্কুলের একাডেমিক কার্যক্রম চালানো যায় সেজন্য সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য টিভি ও অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এ বিষয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করছি এবং অভিভাবকদেরও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, শিশুদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পড়াশোনা, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপ খুব প্রয়োজন। পড়াশোনার দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে কারণ শিক্ষা ব্যতীত কেউ দেশের জন্য অবদান রাখতে পারে না।
এর আগে, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২০ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকালে শিশু একাডেমি মিলনায়তনে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। আয়োজিত এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। বক্তৃতা করেন, অফিসার ইনচার্জ ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি ভীরা মেন্ডনকা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকি ইনাম ও শিশু একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী রিদিতা নূর সিদ্দিকী এবং নাভিদ রহমান তূর্য অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২০ উদ্বোধনের পরই শিশুদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এর আগে রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ের তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তুলে ধরেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।


বিজ্ঞাপন