সাতক্ষীরায় ৪ জনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামলা

অপরাধ খুলনা সারাদেশ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দুই সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কলারোয়া থানায় কারও নাম উল্লেখ না করে মামলাটি করেন নিহত শাহিনুর রহমানের শাশুড়ি ময়না খাতুন।


বিজ্ঞাপন

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারান চন্দ্র পাল জানান, রাতে মামলাটি রেকর্ড করার পরপরই তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়েছে।

ওসি বলেন, এটি যে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তাতে কোনো সন্দেহ নেই। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ-সিআইডিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার ভোররাতে কোন একসময় কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামে একই পরিবারের চারজনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

নিহতরা হলেন- খলসি গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে হ্যাচারি মালিক শাহিনুর রহমান (৪০), তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩০), ছেলে সিয়াম হোসেন মাহি (৯) ও মেয়ে তাসনিম (৬)। হত্যাকারীরা এ সময় ওই পরিবারের ৪ মাসের শিশু কন্যা মারিয়াকে হত্যা না করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

হত্যাকারীরা এ সময় ওই পরিবারের ৪ মাসের শিশু কন্যা মারিয়াকে হত্যা না করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও নিহতের পরিবার।

স্থানীয়রা গতকাল জানান, ভোরে তারা ওই বাড়ির চিৎকার চেচামেচি শুনে ছুটে যান। পরে দরজা খুলে দেখতে পান সাবিনা খাতুন ও তার দুই শিশু তাসনিম ও মাহী একঘরে এবং আরেকটি ঘরে শাহীনুরের জবাই করা লাশ।

একই পরিবারে থাকা নিহত মাছ ব্যবসায়ী শাহীনুরের ছোটভাই রায়হানুল ইসলাম জানান, তিনি গোঙানির শব্দ শুনে দরজা খুলতে গেলে দেখেন বাইরে থেকে শিকল দিয়ে দরজা আটকানো। পরে তার চিৎকারে এলাকাবাসী এসে দরজা খুলে। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঘটনাস্থলে থেকে একে একে পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তিনি বলেন, বড় ভাই শাহীনুর ইসলাম নিজস্ব ৭-৮ বিঘা জমিতে পাঙাস মাছের চাষ করতেন। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে তাদের পারিবারিক সাড়ে ১৬ শতক জমি নিয়ে নিকট প্রতিবেশী ওয়াজেদ কারিগরের ছেলে আকবরের সাথে মামলা চলছিল। এই মামলা ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে তার ধারণা।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে নিহত শাহিনুরের মামার বাড়ি ব্রজবকস গ্রামে নিহত সবাইকে দাফন করা হয়েছে।