রদবদল হচ্ছে মন্ত্রিসভায়

এইমাত্র জাতীয় রাজনীতি

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন মো. ফরিদুল হক খান


বিজ্ঞাপন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : মন্ত্রিসভায় রদবদলের গুঞ্জন উঠেছে। সোমবার বিকেল থেকেই শোনা যাচ্ছে খালি থাকা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নতুন কাউকে দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভার কয়েকজন মন্ত্রীর দফতর বদল করা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

বলা হচ্ছে, জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন। এছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ যেসব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে প্রতিমন্ত্রীরা রয়েছেন সেখানে মন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হতে পারে। বর্তমান মন্ত্রিসভার চার থেকে পাঁচজনের দফতর বদল হচ্ছে বলেও আলোচিত হচ্ছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান বলেন, ‘আমার সঙ্গে এখনও কেউ যোগাযোগ করেনি। আমিও শুনছি। এটা ঠিক যে মঙ্গলবার নাগাদ কিছু একটা জানতে পারব।’

এ বিষয়ে কথা বলতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামকে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার রদবদল আনার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সবসময়ই প্রস্তুত থাকে। এখনও সেভাবে আছে। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) মন্ত্রিসভায় রদবদলের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

গত ১৩ জুন রাতে ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ মারা যান। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই মারা যান তিনি। পরে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় তার ফলাফল পজিটিভ আসে।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে দল আওয়ামী লীগ। ৪৬ সদস্যের ওই মন্ত্রিসভায় ২৪ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও ৩ জন উপমন্ত্রী রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ছয় মন্ত্রণালয় রাখা হয়।

মন্ত্রিসভা গঠনের প্রায় সাড়ে ৪ মাসের মাথায় তা পুনর্বিন্যাস করা হয়। গত বছরের ১৯ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়।

একই দিন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে একই মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী করা হয়। এ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। তাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃত্ব মোস্তাফা জব্বারের হাতছাড়া হয়ে যায়।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী করা হয় তাজুল ইসলামকে। তাজুল ইসলামকে আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও স্বপন ভট্টচার্যকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

ওই সময় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল স্বপন ভট্টাচার্যকে। এখানেও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের উপর কর্তৃত্ব হারান তাজুল ইসলাম।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি তিন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দফতর রদবদল করা হয়। এরমধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে দফতর পরিবর্তন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। আর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরুকে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল।

বর্তমানে মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী ২৫ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৮ জন ও উপমন্ত্রী রয়েছেন ৩ জন।