বঙ্গবন্ধুর অবমাননা সহ্য করা হবে না: তথ্যমন্ত্রী

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মুজিববর্ষ আমরা যেভাবে পালন করতে চেয়েছিলাম করোনার কারণে সেভাবে পালন করতে পারছি না। মুজিববর্ষের শেষের দিকে এসে আজকে নানাভাবে নানা প্রসঙ্গ টেনে এনে বিতর্ক তৈরি করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। একটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আজকে নানা প্রসঙ্গ টেনে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করার অপচেষ্টা হচ্ছে, আমাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কোনভাবেই কোন ইস্যুতে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা সহ্য করা হবে না।
শনিবার দুপুরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবকে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ও বিএফইউজে’র যুগ্ন মহাসচিব এমএ মজিদ, বিএফইউজে’র সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।
নানা ইস্যু তৈরি করে যারা বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা ও সমাজে হানাহানি তৈরি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সোচ্চার হবার অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকরা দেশের মানুষকে পথ দেখায়, আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনে যেমন সাংবাদিকদের অন্যন্য ভূমিকা ছিল, ঠিক একইসাথে স্বাধীনতা সংগ্রামেও সাংবাদিকদের অনবদ্য ভূমিকা ছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার জন্য সাংবাদিকদের লেখনি, পত্রিকার সংবাদ মানুষের মনন তৈরি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
যারা সমাজকে পিছিয়ে দিতে চায়, যারা মধ্যযুগের সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, তাদেরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের বিরুদ্ধেও আজ কলম নিয়ে সোচ্চার হবার সময় এসেছে, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত জাতিকে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত করেছেন। হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালি জাতিসত্ত্বা সৃষ্টি হবার পর বাঙালি কখনো স্বাধীন ছিল না। বাঙালি সার্বিকভাবে কখনো নিজেদের শাসন করতে পারেনি। বাংলা ভাষাবাসী অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে কিছু স্বাধীন রাজা ছিলেন, কিন্তু পুরো বাংলা ভাষাভাষি অঞ্চল নিয়ে পুরো স্বাধীন রাজ্য কখনো ছিল না।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মানুষ আসলে ধীরে ধীরে বই থেকে দুরে সরে যাচ্ছে। বই এখন খুব কম মানুষ পড়ে। আগে কিশোর, শিশু যুবক ও বৃদ্ধদের বই পড়ার অভ্যাস ছিল সেই অভ্যাস এখনকার তরুণদের মাঝে আগের মতো আর নেই। সবাই সোশ্যাল মিডিয়াতে বুঁদ হয়ে থাকে, স্মার্ট ফোন নিয়ে বসে থাকে। বই থেকে অনেক দুরে চলে গেছে। বই পড়ার অভ্যাসটা আবারো ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন, কারণ নতুন প্রজন্মকে যদি তাদের জীবন সংগ্রামে জয়ী হবার জন্য আমাদের প্রস্তুত করতে হয় তাহলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা ফিরিয়ে আনতে হবে।


বিজ্ঞাপন