বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম আরজু : মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে তারা গবেষনা করছেন, নতুন প্রজন্মের জন্য মানিকগঞ্জ জেলার কতিপয় অতি প্রয়োজনীয় তথ্য।
পাক হানাদার বাহিনীর মানিকগঞ্জ শহরের মূল ক্যাম্প ছিল মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পিটিআইতে।
পিটিআইয়ের উত্তরে খালের উত্তরে বি আরডিবির উত্তর পূর্ব দিকে একটা নীচু জায়গা আছে ওটা মানিকগঞ্জ এর বধ্যভূমি।
এছাড়া তরা বাজারে, সাটুরিয়া হাই স্কুল এর উত্তর পাশে গনকবরে বা বধ্যভূমি আছে।
১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর ঘিওর উপজেলার স্থানীয় দালাল রাজাকার দের সহযোগিতায় তেরশ্রীতে এক গ্ৰামের ৪৭ জন নিরীহ গ্ৰামবাসীকে নির্মম ভাবে হত্যা করে।
স্থানীয় বিদ্যুৎসাহী জমিদার সিদ্ধেশ্বর প্রসাদ রায় চৌধুরীকে তেরশ্রী বাজারে প্রকাশ্যে শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে।
তেরশ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমান কে অন্তস্বত্তা স্ত্রীর সামনে গুলি করে হত্যা করে।
মানিকগঞ্জ শহরে শান্তি কমিটির জোরপূর্বক দখলকরা অফিস ছিল কালীবাড়ি মন্দির এর পূর্ব পাশে ননিদির ভবন।
শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন এডভোকেট আফতাব উদ্দিন খান আতা মিয়া, কাউন্সিল মুসলিম লীগ নেতা আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মোঃ সিরাজুল ইসলাম,মডার্ন আর্ট প্রেসের মালিক। এ ছাড়া মুসলিম লীগের স্থানীয় নেতারা এডভোকেট শামসুল হক,এডভোকেট আঃ রহমান,এডভোকেট বজলুল হক, আবুল হাসেম সহ আরো অনেকে।
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ থাকলেও বান্দুটিয়া হাইস্কুল এর নামকরণ করা হয়েছে আফতাব উদ্দিন আহমেদ এর নামে। আটিগ্ৰাম ইউনিয়ন এর কাটিগ্ৰামে স্থানীয় যুদ্ধাপরাধী সেখ রাহাত এর নামে হাইস্কুল পরিচালিত হচ্ছে।
ক্রমশ প্রকাশিতব্য।