আলোর দিশারী ড. বেনজীর

জাতীয় জীবন-যাপন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : দিলরুবা। কতইবা বয়স। নয় দশ বছর। ঢাকা শহরে বাস করে একটি বস্তিতে, বাবা-মায়ের সাথে। বাবা রিকশা চালাতেন। বাবার আয়ে কোন রকম চলত সংসার। আজ অনেক দিন তাও চলে না। বাবা অসুস্থ হয়ে ঘরে বসা। রিকশা চালাতে পারে না।


বিজ্ঞাপন

অনেক কষ্টে ধারদেনা করে ডাক্তার দেখানো হয়েছে। ডাক্তার বলেছেন, হার্টের অসুখ, রিং পরাতে হবে। হতদরিদ্র পরিবারটির ওপর নেমে এলো অমানিশার ঘোর অন্ধকার। অসুস্থ পিতাকে সারিয়ে তোলার এক গভীর কষ্ট নিয়ে দিন কাটছে দিলরুবাদের।


বিজ্ঞাপন

সোমবার বেলা গড়িয়ে তখন সকাল সাড়ে এগারোটা। অন্যদের সাথে দুঃস্থ হিসেবে ‎র‌্যাবের শিক্ষা সহায়তা নিতে অপেক্ষা করছে ‎র‌্যাব হেডকোয়ার্টারের শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজাদ মিলনায়তনে। এমন সময় তার ডাক পড়ে। সহায়তার অর্থ নিতে এক বুক ব্যথা নিয়ে দিলরুবা দাঁড়ায় মানবিকতার আলোয় উদ্ভাসিত এক প্রজ্ঞাময় ব্যক্তির সামনে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের পরিবর্তনের রূপকার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)। মেয়েটির বেদনার্ত ক্লিষ্ট চেহারা আইজিপির মানবিকতায় দোলা দেয়। তিনি গভীর আগ্রহে পরম মমতায় জানতে চাইলেন দিলরুবার কষ্টের কারণ। মেয়েটিও আর দেরী করেনি। অশ্রুসিক্ত নয়নে কাঁপা ঠোঁট গলিয়ে বেরিয়ে এলো তার গভীর ক্ষতের কথা।

আইজিপি নিবিষ্টচিত্তে কথাগুলো শুনলেন। মেয়েটির কষ্ট তার হৃদয়ের অতল গহ্বর ছুঁয়ে গেল। তিনি তাৎক্ষণিক দায়িত্ব নিলেন দিলরুবার বাবার চিকিৎসার। দিলরুবার কাছে এটি ছিল অচিন্তনীয়, অকল্পনীয়। এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত। তখন মেয়েটির চোখে মুখে আনন্দের যে আলোক রেখা ফুটে উঠেছিল তা উপস্থিত সকলকে বিমোহিত করেছে।

আলোর দিশারী ড. বেনজীর আহমেদ এভাবেই প্রতিনিয়ত রচনা করে চলেছেন মানবিকতার এক মহাকাব্য।