নিজস্ব প্রতিবেদক: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩০পিস স্বর্ণের বার ও ৯৮ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালঙ্কারসহ কাতার ফেরত এক যাত্রীকে আটক করেছে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। আটকৃত যাত্রীর নাম মো: নজরুল ইসলাম (৪০)। জব্দকৃত সোনার ওজন ৩ কেজি ৪৮০ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে জিঞ্জাসাবাদ শেষে যাত্রী নজরুলকে বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বিমানবন্দর থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো: কবির হোসেন বুধবার দুপুরে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত কওে জানান, ধৃত মামলার এজাহারভুৃক্ত আসামী মো: নজরুল ইসলামের পিতার নাম মোহাম্মদ মিয়া। কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার সাতগুড়িয়া গ্রামে তার বাড়ি বলে জানা গেছে।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবু হানিফ মোহাম্মদ আবদুল আহাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে কাতার এয়ারলাইন্সের (কিউআর-৬৩৮ নম্বরের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করে। আর ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন নজরুল ইসলাম। তিনি বিমানবন্দরে নামার পর গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বাহিরে বের হবার সময় তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে করে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পরে জানতে চাওয়া হয় তার কাছে কোন সোনা আছে কি না জানতে চাই তিনি অস্বীকার করেন। পরে যাত্রী নজরুলের শরীর তল্লাশি করা হয়। তল্লাশীর এক পর্যায়ে তার শরীরের লুকানো অবস্থায় ৩০পিস স্বর্ণের বার ও ৯৮ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালঙ্কারসহ তাকে হাতেনাতে আটক করে। এ ঝটিকা অভিযানে নেতৃত্ব দেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবু হানিফ মোহাম্মদ আবদুল আহাদ। জব্দ করা ৩০ পিস সোনার বারের প্রতিটির ওজন ১১৬ গ্রাম করে। যার মোট ওজন ৩ হাজার ৪৮০ গ্রাম। প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে আটক যাত্রী বিদেশ থেকে দেশে সোনা আনার কথা স্বীকার করেছে। জব্দকৃত সোনা ঢাকা কাস্টমস হাউজে জমা করা হয়েছে। আটক যাত্রীকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিমানবন্দর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়েছে। এঘটনায় বিমানবন্দর থানায় সোনা চোরাচালান আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।