নিজস্ব প্রতিনিধি : মাদক ও অপসংস্কৃতি ত্যাগ করে তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত “আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২১” এর এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই আহবান জানান।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, মাদক নয়, অপসংস্কৃতি নয়; আমাদের সন্তানেরা সুষ্ঠু, সুস্বাস্থ্যকর খেলাধুলায় ফিরে আসুক। আমাদের সন্তানেরা এখন থেকে খেলাধুলা করবে।
ঢাকা থেকে জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় তৈরি হওয়ার প্রত্যাশার জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, অনেক জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় আছেন যারা আমাদের জন্য অনেক অর্জন এনে দিয়েছেন, সুনাম এনে দিয়েছেন, প্রাপ্তি এনে দিয়েছেন। কিন্তু ঢাকার ছেলে, ঢাকার খেলোয়াড় এখন আমরা খুবই কম পায়, নগণ্য। তাই, ঢাকায় বসবাসরত দুই কোটি দশ লক্ষ মানুষের মধ্যকার অদম্য ও মরিয়া তরুণ প্রজন্মকে আমরা মাঠে নিয়ে আসতে চায়। আমরা চায় ঢাকার ছেলেরা মাঠে খেলবে, মাঠ দাপিয়ে বেড়াবে এবং সেখান থেকে জাতীয় পর্যায়ে খেলোয়াড় তৈরি হবে।
প্রতিবছরই এই আয়োজন করা হবে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এই আয়োজনের মাধ্যমে ওয়ার্ড ভিত্তিক খেলাধুলার প্রচলন আবার ফিরে আসবে। প্রথম আয়োজনে আমরা ফুটবল ও ক্রিকেটকে নিয়ে আসতে পেরেছি। পরবর্তীতে বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন ও জাতীয় খেলা কাবাডিকে আমরা এই আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত করব। এই পাঁচটি নিয়ে আগামীতে এই প্রতিযোগিতা আরও বর্ণাঢ্য হবে, ব্যাপক হবে, কলেবর বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে আমরা ফুটবল, ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলায় খেলোয়াড় তৈরি করতে পারব। কারণ, আমি বিশ্বাস করি, ঢাকাবাসী খেলাধুলায় শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জন করার সক্ষমতা রাখে।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন ক্রীড়ামোদী ছিলেন, খেলোয়াড় ছিলেন। তাঁর সুযোগ্য সন্তান শেখ কামাল বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের রূপকার, তিনি ক্রীড়ামোদী ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একজন ক্রীড়ামোদী, ক্রীড়া সংগঠক। খেলাধুলার প্রতি বারবার তাঁর ভালোবাসার নজির আমরা পেয়েছ, প্রমাণ পেয়েছি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, জাতীয় টিমে ঢাকার ছেলে এখন খুব একটা পায় না অথচ ক্রিকেট ছিলোই তো ঢাকায়। অবশ্য এর পেছনে একটা কারণও আছে, ঢাকায় খেলার মাঠই তো নাই। খেলবে কোথায়?
এ সময় দায়িত্ব দেওয়া হলে যেকোনো ক্রিকেট মাঠের রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখাশোনায় বিসিবি দায়িত্ব পালন করবে বলে বিসিবি সভাপতি জানান।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ এ সময় বলেন, আজ গোটা ঢাকাবাসী এই আয়োজন নিয়ে আলাপ করছে, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ফুটবল হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে আমরা ফুটবল দিয়েই আবার মনে করছি। তাই, এটা নির্দিধায় বলা যায়, আমাদের স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশ ফুটবল টিম ছিল এবং ফুটবল থাকবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সংরক্ষিত মহিলা আসন-২ এর সংসদ সদস্য জিন্নাতুল বাকিয়া, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ডিএসসিসির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সম্মানিত সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির, মধুমতি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও ওরিয়ন গ্রুপের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন