উন্নয়ন শুধু জেলা সদরেই নয়, সকল উপজেলায় দৃশ্যমান হতে হবে——– পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

Uncategorized গ্রাম বাংলার খবর চট্টগ্রাম জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন রাজনীতি সারাদেশ

শারমিন সরকার বৃষ্টি,  (খাগড়াছড়ি)  :  পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, জেলা সদরের উন্নয়ন করলেই চলবে না, উন্নয়ন জেলার সকল উপজেলায় দৃশ্যমান হতে হবে।


বিজ্ঞাপন

আজ শুক্রবার রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এ কথা বলেছেন।


বিজ্ঞাপন

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, নিজেদের ব্যক্তিগত সেটিসফেকশান-এর চেয়ে এক হাজার কৃষক পরিবারকে দারিদ্র্যমুক্ত করার মধ্যে যে সুখ সেটা এনজয় করতে হবে। উপদেষ্টা বলেন, বিগত আমলে যে পরিমাণ বরাদ্দ তিন পার্বত্য জেলায় দেয়া হয়েছিল তার সিকি ভাগও যদি বাস্তবায়ন হতো তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ গরিব থাকার কথা না। উন্নয়ন কাজ কোথায় কী হচ্ছে বা কী পরিমাণ বাস্তবায়িত হলো তার সুষ্ঠু মনিটরিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা।


বিজ্ঞাপন

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট সকলকে সবসময় কেবিনেটের নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দেন উপদেষ্টা।

পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করতে চাই উল্লেখ করে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, একসময় পার্বত্য জনগোষ্ঠী কোটা সুবিধা পেত, যারা কোটা সুবিধা পেয়েছেন তারা ভাগ্যবান। কিন্তু এখন কোটার সুযোগ নেই। দেশের মেইনস্ট্রিমের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে কোয়ালিটি শিক্ষা গ্রহণ করা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট নিশ্চিত করা হবে। একই সাথে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

কর্মশালায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুল খালেক বলেন, মানুষের সেবা নিশ্চিত করার জন্যই সরকার জিআরএস পদ্ধতি চালু করেছে। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যই আমাদের আজকের এই কর্মশালা। তিনি বলেন এখানে সিটিজেন চার্টার, নাগরিক, দাপ্তরিক ও স্টাফদের অভিযোগের প্রতিকারের ব্যবস্থা রয়েছে। সচিব আব্দুল খালেক আরো বলেন, আমরা জনগণের সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে কাজ করি। আমাদের সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে কাজ করতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সিটিজেন চাটার ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা, তথ্য অধিকার, বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি সম্পর্কে আলোকপাত করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুল খালেক।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিষয়ে বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা। কর্মশালায় উন্মুক্ত আলোচনা ও ফিডব্যাক সেশন এবং মতামত গ্রহণ ও আলোচনা পরিচালনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অতুল সরকার।

প্রশিক্ষণ কর্মশালার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম। আগামীকাল ২৪ মে এসডিজি স্থানীয়করণ, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য ও অধিক্ষেত্র সংক্রান্ত উপস্থাপনার তাত্ত্বিক আলোচনা ও জিআরএস সফটওয়্যার এর উপর সম্যক ধারণাসহ প্রয়োগিক কর্মশালের মাধ্যমে কর্মসভার সমাপনী হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *