সড়ক পরিবহন আইন ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালালে ৩ মাসের জেল

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালালে সর্বোচ্চ তিন মাসের জেল (কারাদন্ড) এবং ৩৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৭-এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত নিয়মিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শফিউল আলম জানান, আইনের ৪৫ ধারায় এ ধরনের ২৫টি নির্দেশনা রয়েছে। এই নির্দেশনার মধ্যে প্রথম অংশে রয়েছে ১৪টি এবং অপর অংশে রয়েছে ১১টি। প্রথম অংশের নির্দেশনা অমান্য করলে তিন মাসের কারাদ- ও ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশের নির্দেশনা অমান্য করলে একমাস কারাদন্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন-২০১৭, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন-২০১৭ আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগের মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আইনে সংস্থার প্রধান ছিল মহাপরিচালক। কিন্তু ইউনেস্কোর বিধান মতে পদটি পরিচালক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিধানের সঙ্গে সমন্বয় করে এটি করা হয়েছে। এছাড়া আগে গভর্নিং বডি ছিল ২২ জন। এটাকে কমিয়ে ছয় জন করা হয়েছে। তবে বড় পরিসরে কার্যনির্বাহী কমিটি ২২ জনই রাখা হয়েছে।
শফিউল আলম বলেন, সড়ক পরিবহন আইনে শাস্তি বাড়ানো হয়েছে। এই আইনের ৪০ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদন্ড বা তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, আইনে গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাসের বিধান রাখা হয়েছে। আর লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ছয় মাসের কারাদন্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে গাড়ির হেলপার বা কন্ডাক্টরের (ভাড়া আদায়কারী) লাইসেন্স থাকাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর হেলপার ও কন্ডাক্টরের যোগ্যতা হিসেবে বলা হয়েছে, তাকে লিখতে ও পড়তে পারতে হবে। হেলপার বা কন্ডাক্টরের লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের কারাদন্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *