স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে দিলে ‘বৈষম্যে’র সৃষ্টি হতে পারে। যে কারণে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিধিদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। তিনি সকালের সময়কে বলেন, স্থানীয় সরকারে জনপ্রতিনিধিরা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেও তাদের যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেয়া হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তবে ভালো দিক এবং খারাপ দিক মাথায় রেখেই এ বিষয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মাঝে মধ্যেই তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সর্বনি¤œ শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি ও মেম্বার পদে সর্বনি¤œ যোগ্যতা এসএসসি নির্ধারণের বিষয় নিয়ে ব্যপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সকালের সময়কে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয় ঠিকই; কিন্তু এ বিষয়ে হাইকমান্ড এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হলে যেমন সুবিধা; তেমন অসুবিধাও রয়েছে। তাই এই সবকিছু আমাদের মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থীদের সর্বনি¤œ শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি বা এসএসসি করার কোনো উদ্যোগ এখনো আমাদের নেই। এ বিষয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে যে খবরটি আসছে, সেটি পুরোপুরি গুজব।
জানা যায়, প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণের বিষয়ে দলগতভাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি। স্থানীয় সরকার বিভাগেরও এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেই। অন্যদিকে বিএনপি এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। যদিও তারা দলীয়ভাবে কোনো প্রার্থী দিবে না; তবে দলীয়ভাবে প্রার্থী না দিলেও বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিবে বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হলে এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিকই আছে। এ বিষয়ে বিস্তর আলোচনার প্রয়োজন। আর পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়াই ভালো
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। আইনে পরিণত করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকারের আইনের ভিত্তিতে শুধু নির্বাচন আয়োজন করে।