প্রায়ই হাসপাতালে যাবার আবেদন করেন আমিন হুদা সাজা হওয়ার পর ছয়বার ছিলেন

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র

ইসমাঈল ইমু : মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আমিন হুদা গ্রেফতারের পর থেকে অসসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে ছয়বার হাসপাতালে থেকেছেন। সর্বশেষ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ মে পর্যন্ত বিএসএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আবারও তাকে হাসপাতালের নেয়ার আবেদন করা হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরানীগঞ্জের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, তিনি কারাগারের আসার পর থেকে প্রায়ই হাসপাতালে যাবার আবেদন করে আসছেন। এ পর্যন্ত তিনি ছয়বার বিভিন্ন মেয়াদে হাসপাতালে ছিলেন।
কারা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রথম আমিন হুদাকে বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন টানা এক মাস ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ৭ মে পর্যন্ত প্রায় ১৮ মাস এবং ২০১৭ সালের ২২ জুন থেকে ১ মাস ১০ দিন একই হাসপাতালে ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ৫ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ (২৫ দিন) পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ২৯ আগস্ট থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত (২ মাস ১৭ দিন) বিএসএমএমইউতে ছিলেন আমিন হুদা। ২০১৯ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে গত ১৪ মে পর্যন্ত আবার বিএসএমএমইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি।
সাজা হওয়ার পর আমিন হুদা কারাগারে আছেন ছয় বছর ধরে। এর মধ্যে প্রায় দুই বছর (৭২০ দিন) কাটিয়েছেন হাসপাতালের কেবিনে। কখনো পিঠে ব্যথা, কখনো বুকে ব্যথার কথা বলে হাসপাতালে এসেছেন তিনি। এই সময়ে কেবল হাসপাতালের ভিআইপি কেবিনের ভাড়াই দিয়েছেন তিনি এক কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে টানা ১৯ মাস হাসপাতালে থাকার নজিরও আছে।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর মাদকসহ গ্রেপ্তার হন আমিন হুদা ও তার সহযোগী আহসানুল হক ওরফে হাসান। এরপর গুলশানে তার একটি ফ্ল্যাট থেকে ইয়াবা তৈরির সরঞ্জাম, উপাদানসহ বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করে র‌্যাব। ওই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়। দুই মামলায় ২০১২ সালের ১৫ জুলাই আদালতের রায়ে আমিন হুদাকে বিভিন্ন ধারায় মোট ৭৯ বছর সশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়। একই সঙ্গে জরিমানার আদেশও দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আমিন হুদা হাইকোর্টে আপিল করেন ও জামিন চান। ২০১৩ সালে হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ওই বছরের ৫ মে আপিল বিভাগ জামিন বাতিল করে তাকে আত্মসমর্পণ করতে ও হাইকোর্টে আপিল নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *