গোটা মিডিয়া সেক্টরই সংকটে, ধরন-গভীরতা ভিন্ন হতে পারে

জাতীয়

নাঈমুল ইসলাম খান : টেলিভিশনের আয়-রোজগারে অনেক প্রতিষ্ঠানই পিছিয়ে আছে। সমস্যায় আছে। এ বিষয়ে আমরা অবহিত এবং সংকট কাটিয়ে বাংলাদেশের প্রাইভেট টেলিভিশন আরও সমৃদ্ধ হবে, সফল হবে আমরা সেটাই প্রার্থনা করি।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র বর্তমানে ক্রান্তিকালে রয়েছে। এ সময় সরকারি বিজ্ঞাপনের সংখ্যা বাড়ানো এবং বিজ্ঞাপন বিতরণে নিয়ম-নীতি ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। নিয়ম-নীতি ও ন্যায্যতার পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের বিল পরিশোধের দ্রুততাও অত্যন্ত জরুরি।
টেলিভিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নীতি নির্ধারকের সাথে বৈঠকে টেলিভিশনের সঙ্গে সংবাদপত্রের একটি বিভ্রান্তিকর তুলনা দিয়ে সুবিধা দাবি করেন। এ বিষয়ে আলোকপাত করাই আমার আজকের প্রতিপাদ্য।
টেলিভিশনের দুই- একজন কর্মকর্তা বলেন, তারা বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন প্রচারণামূলক কনটেন্ট বিনে পয়সায় প্রচার করেন। অথচ সংবাদপত্র সরকারি টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞাপন ছাপে। এই তুলনাটাই অসত্য ও বিভ্রান্তিকর।
প্রাইভেট টেলিভিশন যেমন সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা দপ্তরের বিভিন্ন প্রচারণা বিনে পয়সায় প্রচার করে, ঠিক তেমনি দৈনিক সংবাদপত্রগুলোও সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের বহু প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও প্রচারণামূলক লেখা বা সাক্ষাৎকার বিনামূল্যে ছেপে থাকে।
একটি টেলিভিশনে ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ ৮৬,৪০০ সেকেন্ডের মধ্যে প্রতিদিন কত সেকেন্ড সরকারের প্রচারণা চালাতে হয় এবং তার অনুপাত কী দাঁড়ায় এর পাশাপাশি একটি দৈনিক পত্রিকা সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রচারমূলক কনটেন্ট পত্রিকার পাতায় কত শতাংশ বিনে পয়সায় ছেপে থাকে সেটা নিয়ে তুলনামূলক তথ্যানুসন্ধান করে দেখা যেতেই পারে।
আমার ব্যক্তিগত মত মিডিয়ার যেকোনো সেক্টর যার যার নিজের সমস্যা তুলে ধরে সমাধান করতে সরকারের কাছে যেকোনো সুবিধা দাবি করতে পারে, আদায় করতে পারে। এটা ন্যায্য। প্রাইভেট রেডিও এবং অনলাইন মিডিয়ার হাহাকার শোনাবে কে, শুনবে কে? তাদেরও অনেক সমস্যা, অনেক ন্যায্য দাবি।
অনলাইন, রেডিও, টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের গণমাধ্যম এবং তাদের সুবিধা, অসুবিধা, আয়, ব্যয় সব কিছুই নিজস্ব বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। এগুলো যার যার নিজস্ব আঙ্গিকেই বিচার বিশ্লেষণ করা বাঞ্ছনীয়। পারস্পরিক বিরোধীতার দৃষ্টিকোণ থেকে নয়।


বিজ্ঞাপন