ডেস্ক রিপোর্ট : রোহিঙ্গা সংকটের শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু সমাধানে সারা বিশ্বের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার তাজিকিস্তানে এশিয়ার দেশগুলোর পারস্পরিক যোগাযোগ ও আস্থা সৃষ্টি বিষয়ক সম্মেলন সিআইসিএ-তে যোগ দিয়ে এ আহ্বান জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রাশিয়া, চীন, ইরান, তুরস্কের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এশিয়ার শান্তি-স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও তাগিদ দেন তিনি।
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও আস্থা সৃষ্টি বিষয়ক সিআইসিএ’র ৫ম সম্মেলনে যোগ দিতে শনিবার তাজিকিস্তানের দুশানবেতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পাশাপাশি রাশিয়া, চীন, ইরান, তুরস্ক, কাতারসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা একত্রিত হন। তাদের স্বাগত জানান তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রহমান। পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়াও দেশগুলোর যোগাযোগ, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা জোরদার করাই এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য।
সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের উদ্দে দেয়া ভাষণে বাংলাদেশ মিয়ানমারের মধ্যে চলমান রোহিঙ্গা সংকটকে সামনে আনেন রাষ্ট্রপতি। রোহিঙ্গা সংকটের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গারা জোরপূর্বক তাদের পূর্ব পুরুষদের ভিটা থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মানবিক কারণে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশা জনগণকে আশ্রয় দিয়েছে এবং খাদ্যসহ সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। বাংলাদেশ এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ একট সমাধান চায়।
সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিসহ অন্যান্য দেশের নেতারা তাদের বক্তৃতায় এশিয়া অঞ্চলের শান্তি স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ।
সিআইসি.এ- সম্মেলনে যোগ দেয়ার আগে তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রহমানের সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দেশটির সহযোগিতা চান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকশিল্প, ওষুধ, পাট ও পাটজাত পণ্য তাজিকিস্তানে আমদানি করারও আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ ও তাজিকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে দুই দেশের সমন্বয়ে যৌথ কার্যকর কমিটি গঠনের ওপর গুরুত্ব দেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।