আমিন-মোমিন হাউজিং উচ্ছেদ
বিশেষ প্রতিবেদক : তুরাগ নদে অবৈধভাবে গড়ে তোলা আমিন-মোমিন হাউজিংয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং কার্যক্রমে বাধা ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকারি সংস্থাটি। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের ইতিমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন।
তবে নদের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা আমিন-মোমিন হাউজিংয়ে এখন বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং কার্যক্রম চলছে।
এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, সন্ত্রাসীদের হামলা-হুমকির কারণে ঈদের কয়েক দিন আগে তুরাগ নদের বসিলা অংশে আমিন-মোমিন হাউজিংয়ে উচ্ছেদকৃত অংশ পুনরুদ্ধারের ড্রেজিং কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার আবার ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হলে সেখানেও হামলা চালায় সন্ত্রাসী বাহিনী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিআইডাব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক। তিনি বলেন, তাকে ফোন করে জানানো হয়, ড্রেজারে আবার সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে এবং ভীতসন্ত্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ড্রেজার বন্ধ করে জড়সড় হয়ে বসে আছেন। পরে র্যাব, নৌপুলিশ ও আনসার সদস্যদের নিয়ে সেখানে যান তিনি। সন্ত্রাসীদের পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, সন্ত্রাসীদের ছয়জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। রবিবার আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব। মামলার পরে তাদের আটক করা হবে।
সন্ত্রাসী হামলার পরও নদের ড্রেজিং কার্যক্রম থেমে নেই জানিয়ে যুগ্ম পরিচালক বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ড্রেজিং কাজ চলছে। নদী দখল-দূষণকারী ও নদী উদ্ধারে সরকারের চলমান কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকা শহরের চারদিকের নদীগুলো দখল-দূষণমুক্ত করা হবে।
এর আগে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ফেব্রুয়ারিতে বুড়িগঙ্গা-তুরাগ নদে অবৈধ উচ্ছেদ শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। উচ্ছেদ অভিযানের ১১তম দিনে আমিন-মোমিন হাউজিংয়ে অভিযান চালঅতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে তারা। সেদিন উচ্ছেদ বন্ধ করেই ফিরে যান কর্মকর্তারা।
পরদিন উচ্ছেদ শুরু হলে সেখানে আবার বাধার মুখে পড়েন অভিযান পরিচালনাকারীরা। ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে এক ব্যক্তি উচ্ছেদে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তাকেও আটক করেন অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর নানাভাবে চেষ্টা করেও আমিন-মোমিন হাউজিং উচ্ছেদ ঠেকাতে পারেনি।