ইডিসিএল-এ এমডির ভাগ্নে-ভাতিজার মদদে এখনো আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের দোসর ও সুবিধাভোগীরা বহাল তবিয়তে

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সারাদেশ

#  এমডির ভাতিজা-ভাগ্নে এখন প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠেছেন। বদলি-পদোন্নতি, টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্যসহ সব কাজই তাদের ইশারায় পরিচালিত হচ্ছে। তাদের খুশী করেই ফ্যাসিস্ট আমলের চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা শুধু বহাল তবিয়তে নয়, আরো প্রভাবশালী হয়ে ওঠেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন, জিএম এডমিন (এইচআরএম) মনিরুল ইসলাম, জিএম ফাইনান্স আনসার উল্লাহ, গোপালগঞ্জের প্রকল্প পরিচালক হাসান ইমাম, বগুড়া প্লান্টের জিএম (চলতি দায়িত্ব) মো. হেলাল উদ্দিন ইডিসিএল প্রমুখ।বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি I মোহাম্মদ নাজিম আইন কর্মকর্তা. উনার ভাই সাবেক ছাত্রলীগের সেক্রেটারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে উনি আইনের পরামর্শ দিচ্ছেন নিরীহ ও বিএনপি ও জামাত মাইন্ডের লোকের চাকরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকে উনার নামে অনেক নিয়োগ বাণিজ্য অভিযোগ আছে উনার ভাই সাবেক জিম এডমিন ছিলেন সাবেক মন্ত্রী হাসান মাহমুদ এর এপিএস ছিলেন। দুর্নীতিবাজ এবং ফ্যাসিস্ট আমলের সুবিধাভোগীদের বহাল রেখে এমডি প্রতিষ্ঠানটিতে ছাটাই প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। অনেক নিরীহ ও সৎ কর্মচারী বিপাকে পড়েছেন জানান, ছাটাইকৃত সাবেক কর্মীরা। প্রতিষ্ঠানটিতে দুর্নীতির ফিরিস্তি দিয়ে তারা আরো বলেন, বিগত আওয়ামী শাসনামলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাহাদুর ব্যাপারী ‘আর কে ট্রেডার্স’ ও ‘মার্কস কর্পোরেশন’-এর মাধ্যমে হরিলুট চালিয়েছিলেন। ওই সময়ে ‘মার্কস কর্পোরেশন’ উচ্চমূল্যে অর্থাৎ ১২ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলার কেজি দরে প্যারাসিটামল বিপি সরবরাহ করেছিল।সিন্ডিকেট ভাঙ্গার পর সেই প্যারাসিটামল বিপি সরবরাহ মিলেছে ২ দশমিক ৮০ থেকে ৩ দশমিক ১০ মার্কিন ডলারে। বিষয়টি জানাজানি হবার পরও ‘মার্কস কর্পোরেশন’-এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং নতুন করে দু’নম্বরী করে একই প্রতিষ্ঠানকে আরেকটি বড় ধরনের সরবরাহ কাজ দেয়া হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, ওষুধ তৈরির উপাদান নিকোটিনামাইড বিপি ছয় মেট্রিক টন আমদানির জন্য নতুন একটি দরপত্র আহবান করা হয়েছিল পূর্বে এ আইটেমটি ছাত্রলীগের সভাপতির বাহাদুর ব্যাপারীর আপন খালাতো ভাই আমিনুল ইসলাম এর প্রতিষ্ঠান ‘আর কে ট্রেডার্স’ উচ্চমূল্যে একচেটিয়া সরবরাহ করেছে। নতুন দরপত্র প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ‘বেষ্ট ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান বিবেচিত হয়। কিন্তু নানা কূটকৌশলে সর্বনিম্ন দরদাতাকে না দিয়ে কাজটি দেয়া হয়েছে বিতর্কিত ছাত্রলীগের সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারে আপন খালাতো ভাই আমিনুল ইসলামের ‘আর কে ট্রেডার্স’ কে। একইভাবে ২৫ মেট্রিক টন বেনজায়েল বেনজেট সরবরাহের জন্য ‘বেষ্ট ইন্টারন্যাশনাল’ কে অর্ডার দেয়ার পরও সেটি বাতিল করা হয়। এ কার্যাদেশও পেয়েছে সেই ছাত্রলীগ নেতার প্রতিষ্ঠান চতুর্থ দরদাতা ‘মার্কস কর্পোরেশন’। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এসব অপকর্ম হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি। এর সঙ্গে ডাইরেক্টর ইনচার্জ আবদুল হালিম, জিএম (উৎপাদন) নজরুল ইসলাম ও জিএম (হিসাব বিভাগ) আনছার আহম্মেদ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত   #-


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক  : রাষ্ট্রীয় একমাত্র ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগ কোম্পানির লিমিটেডে (ইডিসিএল) ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের আছর কাটেনি। খোদ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ভাগ্নে-ভাতিজার দাপটে তাদের অবস্থান আরো সংহত হয়েছে। চলছে সমানতালে লুটপাট। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ অভিযোগ করে জানায়, জুলাই বিপ্লবের পর রাষ্ট্রীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় ইডিসিএল-এ শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনা হয়।


বিজ্ঞাপন

গত বছরের শেষ দিকে প্রতিষ্ঠানটিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয় মো. সামাদ মৃধাকে। ইডিসিএল-এর ১৫৮ তম বোর্ড সভায় এ নিয়োগ অনুমোদন দেয়া হয়। সামাদ মৃধার আদি নিবাস ফরিদপুরের সদরপুর আটরশি এলাকায়। তবে নতুন এমডি যোগ দেয়ার পর প্রতিষ্ঠানটিতে লুটপাট বন্ধের পরিবর্তে সেটিকে আরো জমজমাট করে তোলা হয়েছে। একই সঙ্গে আওয়ামী আমলের সুবিধাভোগী সিন্ডিকেট চাঙ্গা হয়ে পুরনো অপকর্ম জমিয়ে তুলেছেন।


বিজ্ঞাপন

অভিযোগ মতে, নতুন এমডি শুরুতেই প্রতিষ্ঠানটিতে আত্মীয়করণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএস) হিসেবে নিয়োগ দেন ভাতিজা নাজমুল হুদাকে। যিনি আওয়ামী লীগ নেতা নিক্সন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী এবং ব্যবসায়ী অংশীদার হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি মেশিন অপারেটর হিসেবে কর্মরত ভাগ্নে শওকত মামার দাপটে বলীয়ান হয়ে ওঠেন।

জানা গেছে, এমডির ভাতিজা-ভাগ্নে এখন প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠেছেন। বদলি-পদোন্নতি, টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্যসহ সব কাজই তাদের ইশারায় পরিচালিত হচ্ছে। তাদের খুশী করেই ফ্যাসিস্ট আমলের চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা শুধু বহাল তবিয়তে নয়, আরো প্রভাবশালী হয়ে ওঠেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন, জিএম এডমিন (এইচআরএম) মনিরুল ইসলাম, জিএম ফাইনান্স আনসার উল্লাহ, গোপালগঞ্জের প্রকল্প পরিচালক হাসান ইমাম, বগুড়া প্লান্টের জিএম (চলতি দায়িত্ব) মো. হেলাল উদ্দিন ইডিসিএল প্রমুখ।বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি I মোহাম্মদ নাজিম আইন কর্মকর্তা. উনার ভাই সাবেক ছাত্রলীগের সেক্রেটারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে উনি আইনের পরামর্শ দিচ্ছেন নিরীহ ও বিএনপি ও জামাত মাইন্ডের লোকের চাকরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকে উনার নামে অনেক নিয়োগ বাণিজ্য অভিযোগ আছে উনার ভাই সাবেক জিম এডমিন ছিলেন সাবেক মন্ত্রী হাসান মাহমুদ এর এপিএস ছিলেন
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুর্নীতিবাজ এবং ফ্যাসিস্ট আমলের সুবিধাভোগীদের বহাল রেখে এমডি প্রতিষ্ঠানটিতে ছাটাই প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।

এতে অনেক নিরীহ ও সৎ কর্মচারী বিপাকে পড়েছেন জানান, ছাটাইকৃত সাবেক কর্মীরা। প্রতিষ্ঠানটিতে দুর্নীতির ফিরিস্তি দিয়ে তারা আরো বলেন, বিগত আওয়ামী শাসনামলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাহাদুর ব্যাপারী ‘আর কে ট্রেডার্স’ ও ‘মার্কস কর্পোরেশন’-এর মাধ্যমে হরিলুট চালিয়েছিলেন। ওই সময়ে ‘মার্কস কর্পোরেশন’ উচ্চমূল্যে অর্থাৎ ১২ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলার কেজি দরে প্যারাসিটামল বিপি সরবরাহ করেছিল।

সিন্ডিকেট ভাঙ্গার পর সেই প্যারাসিটামল বিপি সরবরাহ মিলেছে ২ দশমিক ৮০ থেকে ৩ দশমিক ১০ মার্কিন ডলারে। বিষয়টি জানাজানি হবার পরও ‘মার্কস কর্পোরেশন’-এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং নতুন করে দু’নম্বরী করে একই প্রতিষ্ঠানকে আরেকটি বড় ধরনের সরবরাহ কাজ দেয়া হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, ওষুধ তৈরির উপাদান নিকোটিনামাইড বিপি ছয় মেট্রিক টন আমদানির জন্য নতুন একটি দরপত্র আহবান করা হয়েছিল পূর্বে এ আইটেমটি ছাত্রলীগের সভাপতির বাহাদুর ব্যাপারীর আপন খালাতো ভাই আমিনুল ইসলাম এর প্রতিষ্ঠান ‘আর কে ট্রেডার্স’ উচ্চমূল্যে একচেটিয়া সরবরাহ করেছে। নতুন দরপত্র প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ‘বেষ্ট ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান বিবেচিত হয়।

কিন্তু নানা কূটকৌশলে সর্বনিম্ন দরদাতাকে না দিয়ে কাজটি দেয়া হয়েছে বিতর্কিত ছাত্রলীগের সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারে আপন খালাতো ভাই আমিনুল ইসলামের ‘আর কে ট্রেডার্স’ কে। একইভাবে ২৫ মেট্রিক টন বেনজায়েল বেনজেট সরবরাহের জন্য ‘বেষ্ট ইন্টারন্যাশনাল’ কে অর্ডার দেয়ার পরও সেটি বাতিল করা হয়। এ কার্যাদেশও পেয়েছে সেই ছাত্রলীগ নেতার প্রতিষ্ঠান চতুর্থ দরদাতা ‘মার্কস কর্পোরেশন’। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এসব অপকর্ম হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি। এর সঙ্গে ডাইরেক্টর ইনচার্জ আবদুল হালিম, জিএম (উৎপাদন) নজরুল ইসলাম ও জিএম (হিসাব বিভাগ) আনছার আহম্মেদ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।

এ অভিযোগের বিষয়ে এমডি মো. সামাদ মৃধার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।

এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চালালে দুর্নীতির আরো অনেক অনেক ভয়াবহ অনিয়ম ও দুর্নীতি’র চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসবে ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *