নিজস্ব প্রতিবেদক : খাগড়াছড়ির রামগড়ে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীসেতু-১ এবং রামগড় স্থলবন্দর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ।
রোববার সকালে মৈত্রীসেতু ও বন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দু’পক্ষের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, মৈত্রীসেতু ও স্থলবন্দর নির্মিত হলে আন্তঃযোগাযোগ বাড়বে। পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধাও বাড়বে।
মৈত্রীসেতু পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাউদ্দিন, রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী, জেলা পরিষদ সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জুয়েল চাকমা প্রমুখ।
বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের মধ্যে ট্রানজিট সুবিধা, যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর করা এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৬ জুন উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী মৈত্রীসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর সেতুর কাজ শুরু হয়। আগামি ২০২০ সালের ২৭ এপ্রিল সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্যরে এবং ১৪.৮০ মিটার প্রস্থের সেতু নির্মাণে ভারত সরকার ৮২.৫৭ কোটি রুপি ব্যয় করছে। এদিকে স্থলবন্দর নির্মাণকে ঘিরে বন্দর টার্মিনাল, অফিস, গুদামসহ অন্যান্য অবকাঠামো নিমার্ণে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।