আশুলিয়ার ৭ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য গ্রেফতার

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : এলিট ফোর্স হিসেবে র‌্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করে আসছে।


বিজ্ঞাপন

সাম্প্রতিককালে ঢাকা জেলাসহ নিকটবর্তী এলাকার বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা সংক্রান্তে কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি বিশেষ গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্তে নামে।


বিজ্ঞাপন

তদন্তে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য বের হয়ে আসে যাতে দেখা যায় যে, এসব এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে কিছু সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র অবস্থান নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে আসা সাধারণ মানুষের নিকট হতে ছিনতাইয়ের মাধ্যমে টাকা-পয়সা, মোবাইল সেট, ল্যাপটপসহ সংগে থাকা দামি মালামাল ছিনতাই করে নিচ্ছে।

মূলত তারা একটি সংঘবদ্ধ দলে কাজ করে। বিভিন্ন বাস/ট্রাক কাউন্টার/সড়কে এ গ্রæপের তাদের এজেন্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যদের আইনের আওতায় আনয়নের লক্ষ্যে র‌্যাব-৪ এর গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২২ মে ২০২১ তারিখ ২১.০০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইল ও পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় কয়েকজন ছিনতাইকারী যানবাহনে ছিনতাই ও ডাকাতি করার জন্য অবস্থান করছে।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় ২২.০০ ঘটিকা থেকে ২৩.১৫ ঘটিকা পযর্ন্ত অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থল থেকে ০১ টি খুর, ০১ টি হাসুয়া, ০১ টি ইলেকট্রিক কাটার, ০১ টি কাচি, ০২ টি প্লাস, ০১ টি গ্যাস কাটার, ০৩ টি টেস্টার, ০৪ টি ড্রিল মেশিন ও ১৩ টি মোবাইলসহ নিম্নোক্ত ০৭ জন সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। গ্রেফতার কৃতরা হলো ঃ

মোঃ আলিফ (৩২), জেলা-পাবনা মোঃ কালাম (৪৮), জেলা-ঢাকা
মোঃ রুবেল মৌলবি (২৭), জেলা-বরিশাল মোঃ লিটন রানা (২৭), জেলা-সিরাজগঞ্জ মোঃ রাকিব (২২), জেলা-বরগুনা মোঃ রেজাউল করিম (২৮), জেলা-রংপুর এবং মোঃ মিলন মিয়া (৩২), জেলা-ময়মনসিংহ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামীরা দীর্ঘদিন যাবৎ ৮-১০ জনের দলবদ্ধ হয়ে ঢাকা জেলার সাভার, আশুলিয়া, ধামরাইয়ের বিভিন্নস্থানে রাতের অন্ধকারে যানবাহনে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার প্রভৃতি ডাকাতি করে আসছিলো এবং ক্ষেত্রবিশেষে ভূক্তভোগীদেরকে তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করতো।

জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা ঈদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়কে সামনে রেখে ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এইরুপ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর সাঁড়াসি অভিযান অব্যাহত থাকবে।