প্রথম ধাপ শুরু ২০২০ সালে

অন্যান্য অর্থনীতি এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন বানিজ্য রাজনীতি সারাদেশ

রূপকল্প-২০৪১


বিজ্ঞাপন

বিশেষ প্রতিবেদক : রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ শুরু হবে ২০২০ সাল থেকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে। এই পরিকল্পনায় প্রবৃদ্ধি অন্তত ৯ শতাংশ অব্যাহত রাখার বিষয়ে প্রাধান্য দেয়া হবে। পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নেবে বাংলাদেশ। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা মাথায় রেখে করা হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম। তবে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বড় প্রকল্পে স্বল্প ব্যয়ে বাস্তবায়নের পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিত করার তাগিদ এসেছে।
ভিশন-২০২১, রূপকল্প -২০৪১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার পাশাপাশি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা – এসব নিয়েই সাজানো হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা। যার প্রতিফলন থাকছে বাজেটে। নতুন অর্থবছরের বাজেটও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ধারাবাহিক বাজেট।
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, ভিশন ২০৪১ রূপকল্প আছে সেটি বাস্তবায়নে প্রথম পরিকল্পনা হলো অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। এই সময়ে আমরা চাইবো ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি যেন অর্জন করে ফেলতে পারি।
চলতি অর্থবছরে শেষ হচ্ছে ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার পার হচ্ছে চার বছর। দারিদ্র শূন্যে নামানো, ক্ষুধামুক্ত করা, সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ জ্বালানি সুবিধা, বৈষম্য হ্রাস, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করাসহ এসডিজি’র ১৭ টি লক্ষ্য অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিনিয়োগ লাগবে ৯২৯ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৭৫ লাখ কোটি টাকা।
বিদেশি ১০ শতাংশ আর সরকারি অর্থায়ন ৩৩ শতাংশ ধরে বাজেটের মাধ্যমে ব্যয়ের পরিকল্পনা সরকারের। এসডিজিতে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ছয় লাখ কোটি ডলার অতিরিক্ত সংস্থান কষ্টসাধ্য হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার চায় ব্যয় বাড়িয়ে টেকসই উন্নয়নের বৈশ্বিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সফল হতে।
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, আমরা উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের কৌশল নিয়েছি যাতে দারিদ্র দ্রুত কমে যায়। এটা এসডিজির এক নাম্বার লক্ষ্য। সেই সাথে এমনভাবে কৌশল নিয়ে যাতে ক্ষুধা কমে যায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে এখনো বরাদ্দ কম। আর টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নে কর আহরণ যেমন বাড়াতে হবে তেমনি সবক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে সুশাসন। অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ও সামাজিকখাতে আরো উন্নতি করতে হবে। সেই সাথে সুশাসনের সমস্যা সমাধান করতে হবে।
২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। বাকি ৩ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকাই অনুন্নয়ন ব্যয়। যা মোট বাজেটের প্রায় ৬০ শতাংশ।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *