মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষিত
আজকের দেশ রিপোর্ট : নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্টদের মতামত গ্রহণ করা হলেও কোনো কিছুই আমলে না নিয়ে চূড়ান্ত হয়েছে বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২১ এর খসড়া, খবর সংশ্লিষ্ট একটি সুত্রের।
প্রাপ্ত সুত্রে জানা গেছে বিল আকারে মন্ত্রিপরিষদে উত্থাপিত হওয়ার পর আইনে অসংগতি লক্ষ করা গেছে। এতে চরম ক্ষুব্ধ এ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান।
প্রস্তাবিত আইনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ড এবং তৃতীয় অধ্যায়ে বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কাউন্সিল গঠন করার কথা বলা হয়েছে।
একই আইনের অধীনে এই দুটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করার বিধান থাকা বিদ্যমান আইনি রীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
২৭ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সোলতান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের উপসচিব রাজীব হাসান প্রশ্ন তোলেন-একই আইনের অধীনে দুটি আইনগত সত্তা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নজির বাংলাদেশে নেই।
তার আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, একই আইনে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ড এবং বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা সাংঘর্ষিক কি না ?
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের মতামত নিতে হবে।
কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের মতামত গ্রহণ না করে একতরফাভাবে বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২১-এর খসড়া চূড়ান্ত করে।
পরে সেটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দ্বিতীয়বার বিল আকারে উত্থাপন করা হয়। অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিদ্যমান অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, ইউনানী-আয়ুর্বেদিক খাতের অভিভাবক সংস্থা বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডের কোনো মতামত গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়ে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ঔষধ সংশ্লিষ্ট মহলের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। তারা এটাও জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহারে ও ট্রেডিশনাল মেডিসিন এর উন্নয়ন ঘটানো এবং এর প্রসার ঘটিয়ে দেশজ চিকিৎসা পদ্ধতিকে আধুনিকায়ন করে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা। এজন্য তিনি ঔষধি উদ্ভিদ, ভেষজ গাছ-গাছড়া রোপণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। দেশের জেলা উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতাল গুলোতে বিকল্প ( দেষজ চিকিৎসা পদ্ধতির হেকিম ও কবিরাজ) চিকিৎসক নিয়োগ ও করেছেন।