জনসংযোগ কর্মকর্তাদের হতে হবে নিউ-মিডিয়াবান্ধব : তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি : মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর জনসংযোগ কর্মকর্তাদের নিউ-মিডিয়াবান্ধব হতে হবে বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার দুপুরে সার্কিট হাউস রোডে তথ্য ভবন মিলনায়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে প্রচার কার্যক্রমে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের ভূমিকা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, বর্তমান নিউ মিডিয়ার প্রেক্ষাপটে জনসংযোগের কাজ কেমন হবে সেটি সবার জানা থাকা প্রয়োজন এবং সে অনুযায়ী কাজ করার সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার মো: শাহেনুর মিয়ার সভাপতিত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো: মকবুল হোসেন, সাবেক সচিব কামরুন নাহার বিশেষ অতিথি হিসেবে কর্মশালায় সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
আগে জনসংযোগ কর্মকর্তারা সংবাদ পরিবেশনের জন্য একটি প্রেস রিলিজ দিয়ে দিতেন এবং সেটিই যথেষ্ট ছিল এখন কিন্তু তা নয়, পুরো সংবাদমাধ্যমের ক্যানভাসটা অনেক বড় হয়ে গেছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জনসংযোগ কর্মকর্তারা যদি সংবাদের শর্টফিড বা অডিও-ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে নেট বা মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়, সেটা অনেক কার্যকর হয়। কারণ পত্রিকার পাশাপাশি টেলিভিশন দেখে কমপক্ষে তিন কোটি মানুষ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে পৌনে সাত কোটি। সংবাদটা যদি টেলিভিশন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না যায় তাহলে অনেক মানুষ সেই সংবাদ পাচ্ছে না। এই বিষয়গুলো সব জনসংযোগ কর্মকর্তার একেবারে আঙ্গুলের ডগায় থাকতে হবে, এর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলোও তাকে দিতে হবে। আমি নিজে গভীর রাত পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ রাখি, ক্ষেত্রবিশেষে আমার জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আরেকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অর্জন আমাদের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে অবহিত রাখা, আমাদের প্রধান তথ্য অফিসারকে দেয়া, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে দেয়া। যেহেতু আমাদের দায়িত্ব সরকারের কর্মযজ্ঞের প্রচার, মন্ত্রণালয়গুলোর অর্জনের তথ্য পেলে আমরা সেটি সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার করতে পারবো। মনে রাখতে হবে, প্রচারের জন্য প্রেসব্রিফিং বা কনফারেন্সের পাশাপাশি নিবন্ধ প্রকাশও গুরুত্বপূর্ণ।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো: মকবুল হোসেন, সাবেক সচিব কামরুন নাহার এবং অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার ফয়জুল হক তাদের বক্তৃতায় জনসংযোগ কর্মকর্তাদেরকে সরকার ও গণমাধ্যমের সেতুবন্ধ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং তাদের কাজে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের ওপকরেন।
ওআইসি যুব চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সৃষ্টি হবে বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা -তথ্যমন্ত্রী
ওআইসি যুব চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতাকে বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃষ্টির পথ হিসেবে বর্ণনা করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য এটি একটি অনন্য উদ্দীপক প্লাটফর্ম।
রোববার বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডে তথ্য ভবন মিলনায়নে ওআইসি যুব চলচ্চিত্র উৎসবের (ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ফিল্ম এওয়ার্ডস ২০২০-২১) সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো: মকবুল হোসেন সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ও চলচ্চিত্র সমালোচক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) খাদিজা বেগম অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল, ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট তাহা আইয়ান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: আকতার হোসেন অনলাইনে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।েউল্লেখ্য তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গত ১৫ মার্চ ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ফিল্ম এওয়ার্ডস ২০২০-২১ উদ্বোধন করেছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র সমাজের প্রতিচ্ছবি, কালের দর্পণ। আর তরুণরা প্রতিটি জাতির সবচেয়ে বড় মানবসম্পদ এবং তারাই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানে অনেক এগিয়েছে, আমরা চাঁদে গিয়েছি, আগামী একশ’ বছরের মধ্যে মঙ্গল গ্রহেও যাওয়ার আশা রাখি। কিন্তু আমরা এতই আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছি যে, নিজেকে ছাড়া পরিবার বা বৃহত্তর পরিবার এবং সমাজের দিকে ভালো করে লক্ষ্য করার সময় হারিয়ে ফেলছি। এই ক্রান্তিলগ্নে চলচ্চিত্রই পারে আমাদের মাঝে মনুষ্যত্বকে বাঁচিয়ে রাখতে। সেকারণে বহুবিধ শিল্প ও কলার সমন্বয়ে গড়ে উঠা সবচেয়ে শক্তিশালী গণমাধ্যম হিসেবে চলচ্চিত্রের ভূমিকা মানুষের জন্য ক্রমেই আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
বাঙালি জাতির অভ্যুদয়ের ইতিহাসে চলচ্চিত্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাঙালি জাতির পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতি গঠনে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সৃষ্টিশীল কাজের জন্য ব্যাপক উৎসাহ দিয়েছিলেন। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের দেশের নির্মাতারা কালজয়ী সব চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে, জাতিকে পথ দেখাতে, বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে আত্মনিবেদন করতে ভূমিকা রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের চলচ্চিত্রে আবার স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান ওআইসি যুব চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা ২০২০-২১ এর মূল স্থান হিসেবে বাংলাদেশের রাজধানীকে বেছে নেয়ায় আয়োজকদের প্রতি অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানান এবং প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত বিজয়ী তিনটি চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা করেন। তুরস্কের চলচ্চিত্র ‘দ্য ওয়েস্টেড ইফোর্ট’, বাংলাদেশের ‘স্টোরি অভ আ ব্ল্য।