হুমায়ুন কবির খন্দকার : সময়ের তুলনায় আর কিছুদিন হয়তো প্যালেস্টাইনে বিমান হামলা, মৃত্যু, মিছিল ইত্যাদি শোনা যাবে। তারপর এটি ইসরায়েলের অভ্যন্তরীন সমস্যা হয়ে পত্রিকার পাতায়, খবরে আসবে।
তার কিছুদিন পর ইসরায়েল-প্যালেস্টইন বলে পৃথিবীতে কোন সমস্যা থাকে না, তবে এটি ইতিহাস হিসেবে আলোচনায় আসবে। কারণ এই কিছুদিন পর প্যালেস্টাইনের অস্তিত্ব থাকবে না।
বর্তমান প্রজন্মই এই সমাধান দেখে যেতে পারে। এখন আরবের অনেক রাষ্ট্রই বুঝে গেছে প্যালেস্টাইন প্রায়ই বিলীন, হস্তক্ষেপ করার মতো জায়গা নেই।
ইজরায়েলের সাথে সমঝোতা করে বরং তাদের কাছাকাছি আসাটা অনেক লাভজনক, এতে আরব একনায়ক রাজা/বাদশাদের ক্ষমতা রক্ষা করার চেষ্টা অব্যাহত রাখা যাবে, তারা তাই করছে।
অর্থনীতি, প্রযুক্তি, দক্ষতা, সহযোগী বন্ধু রাষ্ট্র ইত্যাদি সব দিক দিয়েইতো ইসরাইল বনের রাজা সিংহের মতোই।
মুসলমানদের স্লোগান ও জীবন দেয়া ছাড়া কিইবা করার আছে, আত্মঘাতী হয়ে নিজেদের মরে হয়তো তাদের যৎসামান্য ক্ষতি করা যেতে পারে।
নিচের ছবি বল দেয়, প্যালেস্টাইনের ভূমি বলে বাকী কিছু নেই, বরং বিরোধপূর্ণ কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে ইসরাইল প্রায়ই ঘরে ঘরে অভিযান চালায় বা বোমায় বাড়িঘর বিলীন করে।
ইসরাইল খুব দ্রুতই প্যালেস্টাইন সমস্যাকে সমাধান করে আরব দুনিয়ার লোকদের কাছে সমৃদ্ধি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের স্বপ্নের দেশ হিসেবে আবির্ভূত হবে, যেখানে সকলে একবার ঘুরে আসার স্বপ্নে থাকবে।
আমি মনে করি, ভবিষ্যতে ইসরাইল আল-আকসা মসজিদ সুন্দরভাবে সুরক্ষিত রাখবে এবং সারা পৃথিবীর মুসলমান পবিত্র ও ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে সেখানে দর্শনে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখবে।
এতে ইসরায়েলের পরিচিতি, সমৃদ্ধি ও বিপুল অর্থ উপার্জন হবে।
আপনি মনে করছেন বর্তমান ইসলামি দেশের কিছু নেতা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলছে বলে তারা বীর, বরং তারা তাদের ও তাদের দেশের ক্ষমতা ও অর্থের জন্য ইসলামী দেশগুলোর বাজারে সস্তা জনপ্রিয়তা রাখতে চায়।
তারা মোটেও পৃথিবীর বর্তমান শক্তিশালী রাষ্ট্র নয়, যারা ইসরায়েলের ক্ষতির চিন্তা করতে পারে।
আপনি ইসরাইল বা তাদের বন্ধুদের গালি দিবেন, গালি শুনবে আপনার সামনে থাকা পরিবার ও প্রতিবেশী, তারাতো শুনতে পাবে না।
আপনিতো পরকালের স্বর্গের আশায় পৃথিবীর আবিষ্কার ও অর্জন তাদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন, তারা হয়েছে পৃথিবীর অদম্য।
হয়তো তাদের ধ্বংসের আশায় আশায় কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকবেন।
আপনার হয়তো কষ্ট লাগছে, আমারও, কিন্তু এটাই হয়তো বর্তমান বাস্তব, সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত।
পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি মুসলিম দেশ ও মানুষ সমস্যার মুখোমুখী রয়েছে।
হয়তো পৃথিবীর মানুষের সমস্যা দূরীকরণে মুসলমানরা একদিন পৃথিবীতে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও অর্জনের চর্চার মধ্য দিয়ে দুর্দশাকে দূর করবে, প্যালেস্টাইনের মতো ভূমি বা মর্যাদায় বিলীন হবে না।