নিজস্ব প্রতিবেদক : একাদশ সংসদ নির্বাচনের ছয় মাস পার হলেও নির্বাচনী ব্যয়ের বিবরণী জমা দেয়নি অন্তত সাতটি দল এবং ৪০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তাদের মধ্য জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরপরও হিসাব দিতে ব্যর্থ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে সেখানে। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ১৮৫০ জন। দেশে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সবগুলোই এ নির্বাচনে অংশ নেয়। ভোটের পর ১ জানুয়ারি নির্বাচিতদের নাম-ঠিকানাসহ গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। গেজেটে প্রকাশের পর ৩০ দিনের মধ্যে প্রার্থীদের এবং ৯০ দিনের মধ্যে দলের নির্বাচনী খরচের হিসাব ইসিতে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসাবে প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে ৩১ জানুয়ারি। আর দলের ক্ষেত্রে সেই সময় শেষ হয় এপ্রিলে। আইন অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের পরবর্তী নির্ধারিত সময়ে তা না দিলে দলগুলোকে সতর্ক করে এক মাসের মধ্যে হিসাব দিতে নোটিস দেওয়া হয়। এরপরও ব্যর্থ হলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে হিসাব জমা দেওয়ার সুযোগ পায় দলগুলো। ইসির উপ সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, নাটোর-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আলাউদ্দিন মৃধা এবং ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দিতে আরও সময় চেয়েছেন। এছাড়া আরও ৩৮ জন প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যয় বিবরণী জমা দেননি বলে তথ্য এসেছে। তাদের আগামি ১৫ দিনের মধ্যে ব্যয় বিবরণী জমা দেওয়ার জন্যে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। ওই সময়েও ব্যর্থ হলে এবং ইসির নির্দেশনা পেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে মাঠ কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হবে, বলেন আতিয়ার। ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা জানান, ভোটে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে বর্ধিত সময় ৯ জুনের মধ্যে অধিকাংশ দল ব্যয় বিবরণী জমা দিয়েছে। সাতটি দল নির্ধারিত সময়ে জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের আরও ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। মধ্য জুলাইয়ের মধ্যে ব্যয়ের হিসা না দিলে করণীয় বিষয়ে কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হবে। কমিশন এ বিষয়ে কারণ দর্শানো নোটিও দিতে পারে। ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা জানান, ২০১৮ পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিবন্ধিত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরীক্ষা করিয়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে ৩৯টি নিবন্ধিত দলকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অডিট রিপোর্ট রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পরপর তিন বছর কমিশনে এ প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে ইসির।