এড. সাইফুজ্জামান শিখর (এমপি) : বাংলাদেশের বেশিরভাগ আমদানি পণ্য মাদার ভেসেলে সিঙ্গাপুর, কলম্বো, হংকং বা মালয়েশিয়ায় পৌঁছে। সেখান থেকে লাইটার ভেসেলে তা আসে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে।
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর বাস্তবায়ন হলে যে কোন দেশ থেকে মাদারভেসেল এ বন্দরে নোঙর করতে পারবে।
আর মাতারবাড়ি থেকে লাইটার ভেসেলে চট্টগ্রাম বন্দর ও বে-টার্মিনালে পৌঁছবে পণ্য। এতে সময় ও খরচ কমবে, পণ্য পরিবহনে গতি বাড়বে।
ভাগ্যবদলের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে ১৬ মিটার ড্রাফটের কৃত্রিম চ্যানেল।
সাগরের বুক চিরে তৈরি করা এই চ্যানেল স্বপ্ন দেখাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বড় বাণিজ্যিক হাব হয়ে ওঠার।
এই চ্যানেলটি আরও ১০০ মিটার এক্সটেনশন করে বন্দর প্রতিষ্ঠা করা হবে। ১ লাখ ১৫ হাজার টন মালবাহী বিশাল মাদারভেসেলও এই বন্দরে ভিড়তে পারবে।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম খননযন্ত্র ‘ক্যাসিওপিয়া–ফাইভ’ বালু–মাটি খুঁড়ে সেই লবণমাঠ খনন করে বানানো হয়েছে জাহাজ চলাচলের কৃত্রিম নৌপথ বা চ্যানেল।
ঢেউ আর পলি জমা ঠেকাতে সাগরের দিকে নৌপথের দুই পাশে পাথর ফেলে তৈরি হয়েছে স্রোত প্রতিরোধক বাঁধ।
চট্টগ্রাম বন্দরে এখন গড়ে প্রতিটি জাহাজে ১,৮৭৮টি কন্টেইনার পণ্য আনা-নেওয়া হয়।
মাতারবাড়ীতে চট্টগ্রাম বন্দরে চলাচলকারী ৪টি জাহাজের সমান কন্টেইনার আনা-নেওয়া করা যাবে এক জাহাজে।
বন্দর সুবিধা অনুযায়ী ১৪-১৫ হাজার একক কন্টেইনারবাহী জাহাজ ভেড়ানো যাবে। এতে আমদানি-রপ্তানি ব্যয় ১৫% কমবে।
মাতারবাড়ী বন্দর নির্মাণের প্রাথমিক পরিকল্পনায় প্রথম ধাপে রয়েছে দুটি টার্মিনাল।
সাধারণ পণ্যবাহী ও কন্টেইনার টার্মিনালে বড় জাহাজ (মাদার ভ্যাসেল) ভিড়তে পারবে, যেটি এখন বাংলাদেশের কোনো বন্দর জেটিতে ভিড়তে পারে না।