নিজস্ব প্রতিবেদক : লকডাউনের আগে ফলের দাম কিছুটা কম থাকলেও ঈদের ছুটির পরপরই বৃদ্ধি পেয়েছে ফলের দাম। বাজারে আম, আপেল, মাল্টা, লটকন এবং আনারের দাম ঊর্ধ্বমুখী। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে ঈদের ছুটির পরপরই ফলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ।
সোমবার রাজধানীর নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা এবং রামপুরার ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি মৌসুমি ফলেরই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কারন হিসেবে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে কিন্তু লকডাউনের কারনে যোগান কম। এ কারনেই ফলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
রামপুরার ফল ব্যবসায়ী হামিদ আলি জানান, ঈদের আগে আম্রপালির কেজি ছিল ৬০-৮০ টাকা। কিন্তু এখন পাইকারি বাজার থেকেই কিনতে হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। তাই বিক্রি করতে হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়।
ক্রেতারা বলছেন, শুধু ফল কেন। বাজারে সব কিছুর দামই ঊর্ধ্বমুখী। যদিও সবজির দাম রবিবার থেকে কিছুটা কমেছে কিন্তু ফলের দাম বেড়েছে অনেক। মাল্টার দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা, আপেলের দাম বেড়েছে ১০-২০ টাকা। লটকন, আনার এবং নাসপতির দামও বৃদ্ধিও পেয়েছে।
গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা আম্রপালি আম এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করা ফজলি আম এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজিতে। অশ্বিনী ও লক্ষ্মণভোগ জাতের আম বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৮০ ও ৭০ টাকা কেজি। অথচ এই আমের দাম একসপ্তাহ আগেও ছিল ৩৫-৫০ টাকা কেজি।
বিক্রেতারা বলছেন, আমের মৌসুম শেষের দিকে আর লকডাউনের কারনে বাইরে থেকে পর্যাপ্ত আমও আসছে না। তাই আমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
শুধু আম নয়, ঈদের আগে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মাল্টা এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজিতে। অর্থাৎ কেজিতে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে সপ্তাহের ব্যবধানে। একইভাবে ১৫০-১৬০ টাকা কেজির আপেল বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা। আপেলের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-৪০ টাকা। আনার বিক্রি হচ্ছে সর্বনিন্ম ২৬০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। লটকন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজিতে।