নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক, বিপিএম, পিপিএম (বার) এর দিক নির্দেশনায়, মোঃ আমিনুল ইসলাম, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী জোন), মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন, পিপিএম, অফিসার ইনচার্জ, কোতোয়ালী থানা এর নেতৃত্বে কোতোয়ালি থানা টিম ২৯ জুলাই, দিবাগত রাত ৩ টায় ইপিজেড থানাধীন ২নং মাইলের মাথা কমিশনার গলি হতে
কুলসুম আক্তার কুলসুমী কে আটক করে এবং তাকে উক্ত কাজে সহযোগিতা করায় মর্জিনা আক্তারকে আটক করা হয়।

উল্লেখ্য গত ২৯ মে ২০০৬ সালে কোতোয়ালী থানাধীন রহমতগঞ্জ ৮১নং গলির সাইদ সওদাগরের ভাড়াঘরের মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টস কর্মী পারভিনকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। এরপর রহমতগঞ্জে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পারভিন আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন গার্মেন্টস কর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী।

উক্ত ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হলেও মামলার তদন্তে হত্যাকান্ডের ঘটনা প্রতীয়মান হওয়ায় উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কোতোয়ালী থানার মামলা নং-০৯, তাং-০৬/০৭/২০০৬ইং, ধারা-৩০২ দঃ বিঃ রুজু হয়।
বর্ণিত মামলায় ০২ বছর তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে কুলসুমা আক্তার কুলসুমী এর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। কুলসুমা আক্তার কুলসুমী উক্ত মামলায় গ্রেফতার হয়।
বর্ণিত মামলায় সে ২৬ অক্টোবর ২০০৭ সাল হইতে ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়ে হাজতবাস করেন।
সে জামিনে আসার পর মামলার বিচার কার্য শেষে গত ৩০ নভেম্বর ২০১৭ সালে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ নুরুল ইসলাম আসামী কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে পারভিন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড সহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
বিষয়টি জানতে পেরে মর্জিনা আক্তার (৩০) সহ অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের একটি চক্রের মাধ্যমে নিরপরাধ মিনু নামক এক মহিলাকে কুলসুমা আক্তার কুলসুমী সাজিয়ে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে গত ১২ জুন, আদালতে আত্মসমর্পণ করালে মিনু গত ১৬ জুন, পর্যন্ত হাজতবাস করে।
বিষয়টি এডভোকেট জনাব গোলাম মাওলা মুরাদ, জজকোর্ট, চট্টগ্রাম এর নজরে আসলে তিনি হাইকোর্টে এ বিষয়ে আপিল করলে হাইকোর্ট বিভাগ মিনু বেগমকে জামিনে মুক্ত দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
পরবর্তীতে বিজ্ঞ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ, ৪র্থ আদালত আদেশ সহকারে আসামী কুলসুমা আক্তার কুলসুমী এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালি থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।