*মশার ওষুধে ভেজাল
*লিমিট অ্যাগ্রো কালো তালিকায়
*মেয়র বললেন নিয়ন্ত্রণে
এম এ স্বপন : কেবল জুলাই মাসেই ডেঙ্গু নিয়ে গড়ে প্রতিদিন একশোরও বেশি রোগী রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবেই চলতি মাসে এই সংখ্যা ৬৪৩ জন। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ছয়’শ আটাশি জন। তবে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় পূর্ব প্রস্তুতি থাকায় মৃতের সংখ্যা সে অনুপাতে বাড়েনি বলে দাবি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। তবে এডিস নিয়ন্ত্রণ বা সচতেনতা সৃষ্টিতে সিটি করপোরেশন ব্যর্থ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ডেঙ্গু, রাজধানীজুড়ে এখন একটি আতঙ্কের নাম। কেবল সরকারি হিসেবেই চলতি বছর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ছয়শ আটাশি জন। আর এ পর্যন্ত মারা গেছে তিন জন।
চলতি মাসের প্রথম ছয় দিনেই রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে এই সংখ্যা ৬’শ ৪৩ জন। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পরিসংখ্যানের চেয়ে বাস্তব চিত্র আরো বেশি ভয়াবহ। এর ওপর প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর চাপ।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র রায় বলেন, যারা নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের কমপ্লিকেশন কম হচ্ছে, যাদের আগের ডেঙ্গুর ইতিহাস আছে তাদের প্রেসার কমে যাচ্ছে, ব্লাড কাউন্ট অনেক কমে যাচ্ছে।
যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে চিকিৎসকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ আর হাসপাতালগুলোর প্রস্তুতি থাকায় মৃতের সংখ্যা সে অনুপাতে বাড়েনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, প্রথমবার আক্রান্তের ক্ষেত্রে মৃত্যুর সম্ভাবনা নাই বললেই চলে, দ্বিতীয়-তৃতীয়বারে মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। ম্যানেজমেন্ট সুন্দরভাবে চলছে বলেই মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম।
এদিকে জুনে হঠাৎ করেই ডেঙ্গু বেড়ে যাওয়ার পর নানা পদক্ষেপ নিয়ে মাঠে নেমেছে দুই সিটি করপোরেশন। তবে তা কেবল লোক দেখানো পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ফুগার মেশিন নিয়ে ক্রাশ প্রোগ্রাম হয়, তার আমাদের কাছে কোনো মূল্য নেই। যেসব জায়গায় জমা জল রয়েছে, সেটা বাড়ি থেকে শুরু করে, সিটি কর্পোরেশনের নর্দমা থেকে শুরু করে, জলাধার পর্যন্ত সেগুলোকে চিহ্নিত করে অঞ্চলভিত্তিক জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে প্রতিরোধকমূলক কার্যক্রম করার ক্ষেত্রেও উৎসাহ তেমন নাই বললেই চলে।
রোববার বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় হলি ফ্যামিলিতে ১৬, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১৫, সেন্ট্রাল হাসপাতালে ১৪, ঢাকা মেডিকেলে ১১ ও মিডফোর্ডে ৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। যার বেশিরভাগই মারাত্মক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।
মশার ওষুধে ভেজাল, লিমিট অ্যাগ্রো কালো তালিকায় : মশা মারার ভেজাল ওষুধ সরবরাহ করায় লিমিট অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সচিবালয়ে রোববার ঢাকা মহানগরীর মশা নিধন কার্যক্রম নিয়ে পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানান তিনি। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনও উপস্থিত ছিলেন।
ডেঙ্গুকে চ্যালেঞ্জ মনে করছেন জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘এ চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য জনগণ আমাকে ভোটে ম্যান্ডেট দিয়েছেন এবং আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এটা আমাদের প্রথম সিজন। আমি এক্সপেরিয়েন্স গ্যাদার করছি। এ এক্সপেরিয়েন্স গ্যাদার করতে গিয়ে দেখলাম, ইয়েস…এখানে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে।
তিনি বলেন, আমাদের একজন কন্ট্রাক্টর যেই কোম্পানির নাম লিমিট অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস, যাদের মশার ওষুধ চারবার টেস্ট করার পর দেখেছি খারাপ মশার ওষুধ। দিস ইজ দ্য ফার্স্ট টাইম ইন দ্য হিস্ট্রি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে লিমিট অ্যাগ্রো প্রোডাক্টসকে ব্ল্যাক লিস্ট (কালো তালিকাভুক্ত) করা হয়েছে। তার মশার ওষুধ আমরা নেব না।
এ কোম্পানি ঢাকা সিটি কর্পোরেশরনের কোনো টেন্ডারে আর অংশগ্রহণ করতে পারবে না’ বলেন আতিকুল ইসলাম।
মেয়র বলেন, আমরা দেখেছি মশার ওষুধের কম্পোজিশন (রাসায়নিক মিশ্রন) যেটা থাকে, গত ১১ বছর ধরে একই ধরনের কম্পোজিশন চলছে। আমরা আইসিডিডিআরবি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে কথা বলে ইমিডিয়েটলি মশার ওষুধের কম্পোজিশন….নেক্সট চালান যখন আসবে…এর আগে চ্যালেঞ্জ যেখানে রয়েছে, আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ডাব্লিউএইচও (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) অনুমোদন নিয়ে নতুন ওষুধ ও নতুন কম্পোজিশন এনে এই প্রথমবারের মতো আমরা ট্রাই করতে যাচ্ছি। যে তিনটি কম্পোজিশন নিয়ে ওষুধটি হয় এর একটি পরিবর্তন করা হয়েছে, আমি বলেছি না তিনটি কম্পোজিশনই পরিবর্তন করতে হবে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ যারা আছেন আমরা তাদের সাথে কথা বলছি। আমাদের বিশ্বাস আমরা একটি ভালো রেজাল্ট আনতে পারব।
গত ২ মাস আগে থেকে আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সাথে মিটিং করেছি। আমরা তাদের বলেছি আমাদের তথ্য দেয়ার জন্য। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যোগ করেন মেয়র আতিকুল।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, মশক নিধন কর্মীদের একটি লগবুক করছি। এটি আগামী ৭ দিনের মধ্যে আমরা পাবলিকলি করে দেব। কোন এলাকাতে কোন মশককর্মী যাবে এবং তার ফোন নম্বর কত তা আমরা স্থানীয় সবাইকে বলে দিতে চাচ্ছি। তখন আপনারা ফোন করতে পারবেন যে, আমার এই রোডে এই মশককর্মী যায়নি। আমরা তাকে ফোন করতে পারব। ফোন নম্বরটা আমরা ওয়েবসাইটে দিয়ে দিচ্ছি, পাবলিকলিও আমরা জানিয়ে দেব। তাই প্রথমবারের মতো আমরা একটি চটি বই করেছি, এটা অনলাইনে দিয়ে দিচ্ছি।
সচেতনতা সৃষ্টিতে উত্তর সিটি করপোরেশেনের পক্ষ থেকে স্টিকার তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গুর বিষয়ে প্রথমবারের মতো সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটি ¯¬াইড (ভিডিও ক্লিপ) তৈরি করেছি আমরা।
এরপর অনুষ্ঠানে ভিডিও ক্লিপটি দেখানো হয়।
মেয়র বললেন নিয়ন্ত্রণে : এ বছর এখন পর্যন্ত দুই হাজার ১০০ মানুষের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন দাবি করেছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।
সচিবালয়ে রোববার ঢাকা মহানগরীর মশক নিধন কার্যক্রম বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রারম্ভিক বক্তব্য তিনি এই দাবি করেন।
মেয়রের ভাষ্যমতে, আক্রান্তদের ৯৮-৯৯ শতাংশেইর ‘ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গু’ হচ্ছে, যা সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে চলে যায় এবং এতে তেমন ক্ষতির কারণ থাকে না।
তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, এবার ডেঙ্গু আগের চেয়ে অনেক বেশি মারাত্মক হয়ে এসেছে। দ্রুত হাসপাতালে না আনলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এল ই ফাতমী বলেছেন, এবার যে ধরনের রোগী আসছে তাদের মধ্যে ডেঙ্গু হেমোরেজিক এবং শক সিনড্রোম বেশি পাচ্ছেন তারা।
মশা মারতে অর্ধশত কোটি টাকা ব্যয়ের পরও বাড়ছে ডেঙ্গু : এবার ডেঙ্গুতে মাত্র দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন মেয়র সাঈদ খোকন। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ জুন পর্যন্ত ৪৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল, যাদের মধ্যে দুজন মারা যান।
এরপরে আরও অন্তত তিনজনের মৃত্যুর বিষয়ে জানা গেছে, যাদের মধ্যে একজন চিকিৎসকও রয়েছেন।
সচিবালয়ে এই সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ছাড়াও বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন।
সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সব রকমের উদ্যোগ চলমান রয়েছে, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বাইরে এখনও যায়নি এবং খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কমে আসবে। এটাতে (ডেঙ্গু) আতঙ্কিত হবার মতো কোনোই কারণ নেই এবং আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হয়নি।
খোকন বলেন, গত জানুয়ারি থেকে সারা দেশে দুই হাজার ১০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
এরমধ্যে এক হাজার ৮৭৫ জন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় গেছেন, চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩০০ জন, দুইজন মারা গেছেন। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ৯৮-৯৯ পারসেন্ট, যা সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে চলে যায়, এটাতে তোমন কোনো ক্ষতির কারণ থাকে না, আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।
সাঈদ খোকন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু মশা একটা আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে থাকে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার মনে হয়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা বেশি, যদিও মাত্র মৌসুম শুরু হয়েছে, ডেঙ্গুর মৌসুম শেষ হয়নি।
রুটিন ওয়ার্কের বাইরে বিশেষ কার্যক্রম শুরু করি। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সায়েন্টিফিক সেমিনারের আয়োজন করে করণীয় নির্ধারণ করি। প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ ও কার্যক্রমের সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করে ডেঙ্গু কিংবা চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রম চলমান থাকার কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, জুমায় ইমামরা খুতবায় বয়ান দিচ্ছেন, শিক্ষকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে তারা অ্যাসেম্বিলিতে বাচ্চাদের এ বিষয়ে সচেতন করে তুলছেন।
আমরা ইতোমধ্যে কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দিয়েছি। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডকে চারটি ভাগে ভাগ করে একেকটি এলাকা থেকে মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজসহ সাতজন করে নাগরিক প্রতিনিধি নিয়ে একটি ওয়ার্ডে ২৮ জন কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তারা বিষয়গুলো তদারকি করছেন। আমাদের স্প্রে-ম্যান যদি অনুপস্থিত থাকে তাহলে সহজেই চিহ্নিত করতে পারছি।
১৫ জুলাই থেকে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম : ডেঙ্গুসহ বর্ষা মৌসুমে যেসব রোগ বেশি হয় সেগুলোর চিকিৎসা দিতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার সব ওয়ার্ডে আগামী ১৫ জুলাই থেকে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম নামানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র খোকন।
তিনি বলেন, ১৫ জুলাই থেকে ৪৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পাড়া-মহল্লাভিত্তিক ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অবস্থান নেবে। তার আগে এলাকাবাসীদের জানিয়ে দেওয়া হবে যদি কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে থাকে বা ডেঙ্গু না হলেও যদি ঠা-া, কাশি, জ্বরসহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার মোবাইল টিম থেকে স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তাররা বিনামূল্যে তাদের চিকিৎসা দেবেন এবং ওষুধ সরবরাহ করবেন।
ওই টিম কোনো রোগীকে হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজন মনে করলে মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, শিশু হাসপাতালসহ নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে এবং চিকিৎসার ব্যয় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বহন করবে।
১৫ জুলাই একটি হটলাইন চালু করা হবে জানিয়ে খোকন বলেন, মেডিকেল টিমে গিয়ে কেউ চিকিৎসা নিতে না পারলে হট লাইনে ফোন করলেই স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা বাসায় চলে যাবেন।