বিনোদন প্রতিবেদক : আসসালামু ওয়ালাইকুম! আজকের এই সুন্দর দিনে আমার প্রাণপ্রিয় ভক্তবৃন্দ এবং শুভানুধ্যায়ীদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা!
আমি শাবনূর…… আপনাদের অফুরন্ত ভালবাসায় সিক্ত একজন ক্ষুদ্র অভিনেত্রী!
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আজ অবধি আপনারা যে স্নিগ্ধ ও নিঃস্বার্থ ভালবাসা আমাকে দিয়ে চলেছেন, এ জন্য আমি আপনাদের নিকট সারাজীবন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে যাবো!
চলচ্চিত্রে নেই দীর্ঘদিন হলো….. তবুও আপনারা আমাকে নিয়ে যে এতোটা উন্মাদনায় মেতে থাকেন, পাগলামি করেন সেটা সোসাল মিডিয়ায় আমি এক্টিভ না হলে কখনোই সেভাবে অনুভব করতে পারতাম না!
আমার প্রতি আপনাদের এমন শক্তিশালী ভালবাসা প্রতিনিয়ত আমাকে বিস্মিত করে! বিশেষ করে এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের আমাকে জানার আগ্রহ, অভিনয় নিয়ে চর্চা কিংবা কোন ধরণের ফিল্ম আমার প্রত্যাবর্তনের জন্য পারফেক্ট চয়েস হবে সেগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়!
সত্যিই-প্রজন্মের ধারাবাহিকতায় এ খাঁটি ভালবাসা অটুট রাখার জন্য আমি আপনাদের নিকট ঋণী হয়ে থাকলাম!
শুধুমাত্র আমার প্রতি আপনাদের দুর্বার আকর্ষণ কিংবা অদৃশ্য ভালবাসা থেকেই আমার নামে আপনারা বিভিন্ন ফ্যান পেইজ, গ্রুপ খুলেছেন— মন খুলে নিজেদের ভালবাসা জানান দিচ্ছেন, অফুরন্ত সময় ব্যয় করছেন, আপনাদের এই অক্লান্ত পরিশ্রম আমাকে আজও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অসীন রেখেছে!
এইজন্য আমার ভক্তকুলের প্রতি আবারও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি!
.কিন্তু এই যে গ্রুপ কিংবা পেইজগুলীতে আমাকে ঘিরে ভালবাসার রঙিন আবেশ আপনারা ছড়িয়ে দিচ্ছেন তার আঁড়ালে কিছু ভয়ানক গল্প আমাকে মর্মাহত করেছে!
আমি জানতে পেরেছি- এইসব গ্রুপ এবং পেইজে বিচরণ করছে কিছু বিকৃত চিন্তার মানুষজন যাদের মূল উদ্দেশ্যই হল অন্যের ক্ষতি করা!
এই যেমন- ‘গ্রুপ গুলোতে আমার ভক্তবৃন্দের ভালবাসার বার্তা প্রচার করতে গিয়ে সবার মাঝে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে, রক্তের সম্পর্ক নেই অথচ একে অন্যকে অন্ধ বিশ্বাস করে ফেলেন, মেসেঞ্জারে চলতে থাকে হাজারো কথার ফুলঝুরি! আর এটাকেই প্রতারণার কৌশল হিসেবে নিচ্ছে কিছু ধুরন্ধর মানুষ!’
.
দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা আমার সাথেই কানেক্টেড ছিল বিভিন্ন কারণে! আর সেই সুবাদে তাদের সাথে একটি সুন্দর সম্পর্কও আমার তৈরি হয়ে গিয়েছিল!
তাই মাঝেমধ্যেই তাদের সাথে ফোনালাপ, কখনো ভিডিও কলে কথা হতো, কিংবা কখনো বিশেষ দিনে দুই একবার বাসায় নিমন্ত্রণ পেতো! এই সুযোগটাকে তারা নিজেদের কাজে লাগিয়েছে! বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানে এসে তারা আমার সাথে কিছু পিকচার তুলে নিয়েছে, ম্যাসেঞ্জারে কথোপকথের সময় আমার আঁড়ালে তারা ভয়েস কিংবা ভিডিও কল রেকর্ড করে রেখেছে!
আর সেইগুলোই তারা আমার সহজ -সরল ভক্তদের মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে নিজেদেরকে আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ হিসেবে দাবী করছে এবং একটি পর্যায়ে দেখা করিয়ে দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা! কিন্তু আমি একবারও তাদের এই কার্যক্রম বুঝতে পারিনি!
তারা যে একজন অভিনেত্রীর বাইরে ব্যক্তি মানুষ হিসেবে আমার সরলতাকে পুঁজি করে আমারই খাঁটি ভক্তবৃন্দের সাথে নিজেদের অপকর্ম চালিয়ে যাবে তা ছিল আমার কল্পনাতীত!
কিন্তু তারা হয়তো জানেন না পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে’! আর তাইতো, সময়ের স্রোতে আমার ভক্তদের প্রতিনিয়ত প্রতারিত করা সেই মানুষগুলো এবং তাদের কর্মকান্ড একটু দেরীতে হলেও আমার কাছে এসে পৌঁছে গেছে উপযুক্ত প্রমাণসহ! আমি স্তব্ধ হয়ে গেছি যখন আমার ভয়েস ক্লিপ আর ভিডিও কলের রেকর্ড দেখলাম এক এক করে! আরও আশ্চর্য হয়েছি এইগুলো ব্যবহার করে তাদের প্রতারণার বিভিন্ন ধরনের নাটক তৈরি আর তাতে তাদের সূক্ষ্ম অভিনয় দেখে! সত্যিই- তারা যতেষ্ট বিচক্ষণ মানুষ! আমি আগেই অল্পস্বল্প বুঝতে পেরেছিলাম যদিও- কিন্তু এতোটা সিরিয়াস মনে করিনি!
নিজেদের অপকর্ম যখন পাহাড়সম উচ্চতায় পৌঁছে গেছে, তখন তারা আমার কাছেই এসে নিজেদের সাধু বানাচ্ছে আর অন্যের নামে চালাচ্ছে অপপ্রচার! যেনো কোনদিন আমি সেই প্রতারিত মানুষদের সান্নিধ্যে যেতে না পারি, জানতে না পারি আসল গল্পগুলো!
কিন্তু প্রকৃতির প্রতিশোধ বড়ই নির্মম! তাদের সকল অপকর্মের আসর সময়ের প্রেক্ষিতেই পৌঁছে গেছে আমার কাছে! আমি মর্মাহত এই কারণে যে, সেই ধুরন্ধর লোকগুলো আমার ভক্তদের ইমোশন নিয়ে খেলে গিয়েছে, প্রতিনিয়ত তাদের বোকা বানিয়ে গিয়েছে! আর বিনিময় হিসেবে সেই প্রতারক চক্রগুলো নিজেদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছে!
তাদের কিছু কার্যকলাপ নিচে তুলে ধরছি,
প্রথমেই আপনার সাথে পরিচিত হবে, অতঃপর একটু ভাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং তৈরি হলেই আমার সাথে তাদের পিকচার আর ভয়েস ক্লিপ আপনাদের সেন্ড করবে! পিকচারগুলো বেশিরভাগই আমার জন্মদিনের,যেমন -কেক কাটছি নইতো কেক খায়িয়ে দিচ্ছি অথবা আমার পুত্র আইজেন নেহানের সাথে পিকচার!
অপরদিকে, ভিডিও -অডিও ক্লিপগুলোতে হয়তো মন খুলে তাদের তুই/তুমি বলে সম্বোধন করে কথা বলছি! যার কারণে আপনারা বিশ্বাস করেই নেন সে আমার একান্তই ব্যক্তিগত কেউ!
.
তারা প্রমাণ করতে চাইবে তারা আমার সবচেয়ে আপনজন! তাদের কথায় উঠি- বসি, কিংবা তাদের পরামর্শ নিয়ে আমি আমার জীবন পরিচালিত করি!
.
এই পর্যায়ে তারা আপনার সাথে ইমোশন নিয়ে খেলবে, তখন বিভিন্ন অভাব-অনটন দেখিয়ে টাকা ধার চাইবে কিংবা আমার সাথে দেখা করিয়ে দিবে বলে একটা বড় অঙ্কের এমাউন্ট দাবী করবে!
.
যখন আপনি টাকা দিয়ে দিবেন তখন সে সুযোগ পেয়ে আরও সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে! আমার ফিল্মের বিভিন্ন গান তাদের ভয়েসে রেকর্ড করে পাঠাবে, বুঝাতে চাইবে আমি বলতেই তারা অজ্ঞান! তারপর ঝোপ বুঝে আবার কোপ দিতে আসবে! আবারও চাইবে টাকা!
.
যদি কেউ উপরিউক্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়ে থাকেন তবে দয়া করে এখুনি তাদের ব্লক দিন অথবা তাদের অপকর্মের চ্যাটিং আমার ইনবক্সে শেয়ার করুন। আমি তাদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো, প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের ছবিসহ পত্রিকায় নিউজ করাবো। আমি কখনোই সহজ সরল মানুষকে ইমোশনাল ব্লাকমেইল হতে দিব না।
(শাবনুরের ফেজবুক পেজ থেকে নেয়া।)