বিশেষ প্রতিবেদক : একসঙ্গে এডিস মশার এত পরিমান লার্ভা আগে কখনো দেখেননি তাই এডিস মশার লার্ভা দেখে বিস্মিত হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা।
বিস্ময়ে হতভম্ব আনিক-২ সুয়ে মেন জো বলেন, “এটা অনেকটা ইতিহাস, রেকর্ডের মতো। গত জুন মাস থেকে অগাস্টের আজকের দিন পর্যন্ত আমরা অভিযান পরিচালনা করছি, ডেঙ্গুর লার্ভা ধ্বংসের কাজে আমরা নিয়োজিত আছি। কিন্তু আজকে এই এলাকায় এই নির্মাণাধীন ভবনে যে পরিমাণ লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, সেটা গত আড়াই মাস আমরা কেউ দেখি নাই। এটা একেবারে অবিশ্বাস্য। দুই দুইটা পানির হাউজের মধ্যে কোটি কোটি লার্ভা এবং এটার ভিতর (হাউজগুলোর ভেতর) ধ্বংস করার জন্য যখন মশার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে তখন উড়ন্ত এডিস মশাগুলো এখান থেকে উঠে আসতেছিল। সার্বক্ষণিকভাবে মশা এখানে উৎপন্ন হয়েই যাচ্ছে।”
সুয়ে মেন জো বলেন, “আমাদের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদেরকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন, অনাদায়ে ১৫ দিনের জেলের দণ্ডাদেশ দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে আমরা আরেকবার আসবো, তখনো যদি এ অবস্থা থাকে তাহলে তাকে সরাসরি জেলের শাস্তি দিবেন বলেন আমাদেরকে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন।”
এ সময় সেখানে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস ও অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাদসিক এর চিরুনি অভিযানের অংশ হিসেবে আজ বাসাবো কদমতলা এলাকায় করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বিপুল পরিমাণ মশার লার্ভা দেখতে পাওয়ায় তিনি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে অঞ্চল-২ এর আনিক সোয়ে মেন জো তৎক্ষণাৎ এডিস মশার সেই প্রজননস্থল উপস্থিত হন এবং অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন।
বাসাবোর এই অভিযানে বিজয় ডেভেলপমেন্ট লিঃ নামক আবাসন উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে আজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আরও ৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে ঢাদসিক’র ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত মোট ১০৬১টি বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং ১১টি নির্মাণাধীন ভবন ও বাসা-বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সর্বমোট ১১ মামলায় ২ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।