নিজস্ব প্রতিনিধি : নীলফামারী জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা স্থানীয় রাশিদুল ইসলাম নামের একজন বৃদ্ধের বৈধ পাওনা টাকা আদায় করে দেন আইনি সহায়তার সাহায্যে। বিনিময়ে ওই বৃদ্ধ পরম ভালোবাসা আার আবেগ নিয়ে ১ কেজি দুধ আর ১ কেজি আটা নিয়ে থানায় হাজির হয় সহজ সরল স্বভাবের বৃদ্ধ মানুষটা। আবেগে আপ্লুত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন। আজকের দেশ ডটকম পরিবার ওই পোস্ট টি পর্যবেক্ষণ করে পোস্ট টি হুবহু জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা হলো এই কারনে মানবতা ও মহানুভবতা জনগণ এবং পুলিশের মাঝে কতোটা বিদ্যমান।
” পুলিশ জন্যই বুঝি পরম আদরে যত্ন করে নিয়ে এসে ভালোবাসাটুকু দিয়ে গেলেন থানায়। আমার সাথে ছবিতে বৃদ্ধ চাচার নাম রশিদুল ইসলাম।
খুবই সাদাসিধে এবং নিতান্তই গরীব মানুষ তিনি। কোন এক ব্যক্তি ওনার কিছু টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে। অনেকদিন, অনেককে ধরেও টাকা উদ্ধার করতে পারেননি।
অবশেষে পুলিশের সাহায্য নিতে আসলে আমি এসআই মোঃ বাকিনুর ইসলাম
উক্ত ব্যক্তির টাকা তুলে দেওয়ার আশ্বাস দেই।
পরবর্তীতে তার টাকা উদ্ধার করে দেওয়ার পর আমাকে নিয়ে ওনার ব্যকুলতা না হয় প্রকাশ নাই করলাম। কিন্তু মঙ্গলবার ২৪ আগস্ট বৃদ্ধ চাচা যা করলেন সেটা প্রকাশ না করে পারছি না।
বৃদ্ধ চাচা নিজের হাতে গরুর দুধ দোহন ও বাড়িতেই তৈরি করে ১ কেজি আটা সহ আমার কাছে আসেন।
তিনি এই ১ কেজি আটা এবং ১ লিটার নিজের গরুর দুধ নিয়ে থানা এসেছেন আমাকে ছেলে মনে করে খাওয়াবে বলে।
আমি যখন না করেছিলাম নিব না তখন বলল যে আমি কান্না করতে করতে বাড়ি যাব। যখন বলেছি নেব তখন সে কি হাসি।
ওনার মলিন মুখে এরকম প্রস্ফুটিত হাসি আমাকে জানান দিলো সারা জীবন ধরে যে ভালোবাসার সংজ্ঞা আমরা খুঁজি সে সংজ্ঞা টা আসলে কি।
এই ১ লিটার দুধ ১ কেজি আটা পৃথিবীর সবথেকে বড় নির্ভেজাল এবং নিরেট ভালোবাসার সংজ্ঞা।
আমি গর্বিত বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য হতে পেরে। শত ব্যস্ততা শত টেনশন শত কষ্ট উপেক্ষা করে যখন এরকম কোনো মুহূর্তে মুখোমুখি হই তখন মনে হয় আমিই সেরা। আমি বাংলাদেশ পুলিশ।
উল্লেখ্য যে পুলিশ সুপার, নীলফামারী মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম,পিপিএম নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা পুলিশ,নীলফামারীর প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা, নিয়মানুবর্তিতা,জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সৃষ্টিশীলতা ও সৃজনশীলতার আবরণে আবদ্ধ হওয়ার প্রয়াসে বাংলাদেশ পুলিশ অগ্রগামী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।” এটাই ছিলো ওই পুলিশ কর্মকর্তার পোস্ট।