পিরোজপুর প্রতিনিধি : নারী মায়ের জাতি অথচ নারী জাতিকে নানান ভাবে অসম্মান করে বিতর্কিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে কালারদোনিয়ার মৃত মকবুলের ছেলে জসিমের(২৬) বিরুদ্ধে। বিগত সময় থেকে চলতি সময়ে প্রতিবেশীসহ চাচাতো ভাইদের সাথে তর্ক-বিতর্ক সহ মারধর করারও গুরুতর অভিযোগও উঠেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে আপন চাচতো ভাই ও তাদের বউদের সাথে ভেফার্স কথা বার্তা বলেন। ঐ সময়েই এক তরফা ভাবে মারধর সহ শরীরে জখনও করে। জখম হওয়া সাইদুলের স্ত্রী মমতাজ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, জায়গা জমির রেশ ধরে ইচ্ছা কৃত ভাবে আমাকে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করে জসিম। বিগত সময়ে আপত্তিকর কথাও বলার চেষ্টা করেন। আমার স্বামী ভদ্রতার সাথে জসিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আর প্রতিবাদ করাই আমার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। সন্ত্রাসী ও বিএনপির ক্যাডার জসিম আমাকে এক তরফা ভাবে মারধর করে। পাশাপাশি ধারালো দাও দিয়ে আমাকে কোপ দেয়। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে কোন মতে কিছু কথা বলেন। জখম হওয়া মমতাজের স্বামী মো. সাইদুল ইসলাম গনমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আসলে এই হামলা মধ্যযুগীয় বর্বরোচিত হামলাকেও হার মানায়। তুচ্ছ ঘটনাকে করে জসিম ও তার আরও ভাইয়েরা বৃহস্পতিবার রাতে হামলা করে। হামলায় আমার স্ত্রী বর্তমানে মৃত্যুর পথযাত্রী।
এদিকে বর্বরোচিত হামলার ঘটনার কথা বৈটাকাঠা পুলিশ ফাড়ির এসআই আরিফ দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি গোচর হয়নি মারামারির ঘটনা। তবে জসিমসহ তার বড় ভাই ইব্রাহীম আইনের ভাষায় চরম বিতর্কে। বিগত সময়ে ইব্রাহিমকে আমরা কঠিন শাস্তি দেই। আর ঐ সময়ে তার চাচাতো ভাই সাইদুলের জিম্মায় নেয়া হয়। তবে এলাকার মেম্বার মো. সহিদ সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের এলাকায় জসিম দারুণ বেপরোয়া। নানান কাজে বিগত সময়ে চরম বিতর্কিত জসিমসহ ইব্রাহিম ও ছোট ভাই নাঈম গংরা। সর্বশেষ তথ্যমতে এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী, বিএনপির ক্যাডার জসিমের হাত থেকে নারীরা বাচতে চায়। বাঁচতে চায় জখম হওয়া মমতাজ।