বিশেষ প্রতিবেদক : এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর রাত ২ টা ১০ মিনিটের সময় ডিএমপি ঢাকার মিরপুর মডেল থানাধীন দক্ষিন পীরেরবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মিরপুর মডেল থানার মামলা নং- ২৯/৫৫৪ তারিখ-১১/১০/২০২১ ইং, ধারা- ১৪৩/৩৪১/৩০৭/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০ এর এজাহার নামীয় নিন্মোক্ত পলাতক আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
গ্রেফতার কৃত রা যথাক্রমে, মোঃ সজিবুল ইসলাম (৪০), জেলা- ঢাকা এবং মোঃ ইউনুস আলী (৩৪), জেলা- ভোলা
অপরাধের কৌশল ও বিস্তারিতঃ ধৃত আসামীরা গত ৩ অক্টোবর রাত অনুমান ২০.৩০ ঘটিকার সময় অত্র মামলার বাদী মোঃ আনোয়ার হোসেন (৪৩) মিরপুর মডেল থানাধীন দক্ষিন পীরেরবাগ লেকভিউ সোসাইটি ৩ নং রোড, তাতী লীগ ক্লাব সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে তার বাসায় যাওয়ার সময় ধৃত আসামীদ্বয় সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন আসামী বেআইনী জনতাবদ্ধে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বাদীর পথরোধ করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চাপাতি, রড ও ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে এলোপাথারি মারপিট শুরু করে।
ধৃত আসামী মোঃ সজিবুল ইসলাম (৪০) ধারালো ছুরি দিয়ে বাদীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার তলপেটের বাম পাশে আঘাত করে রক্তাক্ত কাটা গুরুতর জখম করে। ধৃত আসামী মোঃ ইউনুস আলী (৩৪) তার হাতে থাকা রড দিয়ে বাদীকে এলোপাথারি মারপিট করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।
তখন বাদীর ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন চলে এলে ধৃত আসমী সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা বাদীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদান করে তাকে জখম অবস্থায় পাশে থাকা ময়লাযুক্ত খালে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
তখন স্থানীয় লোকজন বাদীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাদীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
বাদী উক্ত হাসপাতাল হতে চিকিৎসা গ্রহণ করে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে গতকাল সোমবার ১১ অক্টোবর মিরপুর মডেল থানায় এসে উল্লেখিত আসামী ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে অত্র মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য যে, ধৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে পূর্বে বিভিন্ন থানায় অসংখ্যা মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন এবং এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাবের জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।