বঙ্গমাতা ছিলেন নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের অনন্য প্রতীক

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার ইতিহাসে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কোনো পদ-পদবীর অধিকারী না হয়েও তিনি ছিলেন নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের এক অনন্য প্রতীক। এক অসামান্য দৃঢ়তা, আত্মপ্রত্যয়, দৃঢ় মনোবল, সাহস এবং অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সুগভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অধিকারী এই নারী আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেন, নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি পরামর্শ, সাহস, অনুপ্রেরণা ও সকল কাজে সহযোগিতা দিয়ে গেছেন। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠার ক্ষেত্রে মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অনন্য ভূমিকা ছিল।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ প্রেক্ষাপটের নেপথ্যে থেকে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা জুগিয়েছেন, পরামর্শ দিয়েছেন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতার সঙ্গে বুলেটের নির্মম আঘাতে জীবন দিতে হয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে, মরণেও তিনি স্বামীর সহযাত্রী হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বারবার গ্রেফতার হয়েছেন, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। কিন্তু বঙ্গমাতা ভেঙে পড়েননি। শক্ত হাতে পরিবারের হাল ধরেছেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে পাক সামরিক সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে নিষেধ করে বাংলার স্বাধীনতার পথ খুলে দিয়েছিলেন বঙ্গমাতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর এ দূরদর্শী চিন্তা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
ড. শিরীন শারমিন বলেন, বঙ্গমাতার উৎসাহে বঙ্গবন্ধু কারাগারে আত্মজীবনী লিখেন। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক অজানা ইতিহাসের সম্ভার। এই আত্মজীবনী সংরক্ষণে বঙ্গমাতার ভূমিকা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন প্রচারবিমুখ, পর্দার অন্তরালে থেকে দেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামে নিরন্তর প্রেরণা যুগিয়েছেন। তাঁর ত্যাগ, দেশপ্রেম ও আদর্শ অনন্তকাল আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। ’
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট তারানা হালিম।
অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *