আজকের দেশ ডেস্ক : ঈদের এক সপ্তাহ আগে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার সাথীর সঙ্গে বিয়ে হয় ব্যবসায়ী ইমরান হোসেনের। বিয়ের পর ঈদ উৎসব পালন। তারপর হানিমুন। তবে বাড়ি ফেরা হলো না এই দম্পতির। পথেই বাসের চাপায় পৃষ্ট হয়ে না ফেরার দেশে তারা। মেহেদির রঙ এখনো মুছেনি, যায়নি বিয়ে বাড়ির ধুম। এরই মধ্যে নব দম্পতিসহ চারজনের মৃত্যুর খবরে মূর্ছা যাচ্ছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সিলেট থেকে ফেরার পথে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কারারচর এলাকায় শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীসহ চারজন নিহত হন। আহত হন আরও চারজন। মুমূর্ষু অবস্থায় আহত চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছেন, হানিমুন ও মাজার জিয়ারত শেষে গতকাল রাতে বন্ধুদের সঙ্গে প্রাইভেটকারযোগে সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। প্রাইভেটকারটি শিবপুরের কারারচর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক ঢাকা থেকে আসা সিলেটগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারে থাকা নব দম্পতিসহ তিন যাত্রী মারা যান। খবর পেয়ে ইটাখোল হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস নরসিংদী ও শিবপুরের চারটি ইউনিট দুর্ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে। আহত অবস্থায় বাস ও প্রাইভেটকারের আরও পাঁচ যাত্রীকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। আহতদের মধ্যে চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মূলত বেপরোয়া গতিতে পাশ কাটাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।