নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ গত ২৬ জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও হতে ফয়সাল আহম্মেদ(১৭) নামের এক কিশোর নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজের দুই দিন পরও তাকে পাওয়া না গেলে নিখোঁজের মামা মোঃ মানিক সোনারগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন, যার নম্বর – ১৪১৯ তারিখ গত ২৮ জানুয়ারি,।
নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরীর সূত্র ধরে র্যাব-১১ সিপিসি-১, ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ৪ ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে সোনারগাঁও থানার বাগমুছা এষিপাড়া এলাকার একটি পুকুর হতে নিখোঁজ ফয়সাল আহম্মেদের মৃত দেহ উদ্ধারসহ হত্যাকান্ডে জড়িত দুইজন আসামী অপূর্ব চন্দ্র দাস (১৯), পিতাঃ তপন চন্দ্র দাস, গ্রামঃ বাগমুছা এষিপাড়া, পোষ্টঃ আমিনপুর, থানাঃ সোনারগাঁও, জেলাঃ নারায়ণগঞ্জ ও তপু চন্দ্র দাস @ অপু (২৫) পিতাঃ নিতাই চন্দ্র দাস, গ্রামঃ বাগমুছা এষিপাড়া, পোষ্টঃ আমিনপুর, থানাঃ সোনারগাঁও, জেলাঃ নারায়ণগঞ্জদ্বয়কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড এবং পূর্বশত্রুতার জের ধরে তারা এ হত্যাকান্ডটি ঘটায়।
আসামীদ্বয় সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। গত ২৬ জানুয়ারি ২০২২ রাতে আসামী অপূর্ব চন্দ্র দাস (১৯) ফোনে ভিকটিমকে তার সাথে দেখা করতে বলে। পরবর্তীতে ভিকটিম অপূর্বের সাথে দেখা করতে গেলে অপূর্ব ভিকটিমকে জরুরী কথা আছে বলে তার বাড়ির পাশে থাকা উচু ভিটায় নিয়ে যায়।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমের সাথে কথা বলার এক ফাঁকে আসামী অপূর্ব তার হাতে থাকা দড়ি দিয়ে ভিকটিমের গলা পেচিয়ে ধরে তার বুকের ওপর ওঠে।
এ সময় ভিকটিম চিৎকারের চেষ্টা করলে অপর আসামী অপু ভিকটিমের পা দড়ি দিয়ে বাধে এবং মুখ চেপে ধরে।
পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত হলে দুজন মিলে মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে পরস্পরের সহায়তায় তাদের বাড়ির অদূরে ঝোপের মধ্যে থাকা একটি পুকুরে কচুরীপানার নিচে লাশ ডুবিয়ে রাখে।
অবশেষে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ উক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী অপূর্ব চন্দ্র দাস (১৯) ও তপু চন্দ্র দাস @ অপু (২৫) কে সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নিখোঁজ ফয়সালের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদ্বয় উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। অত্র হত্যাকান্ডের সাথে আরো কেউ যুক্ত আছে কিনা তা আরো অধিকতর তদন্তে জানা যাবে। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।